কলকাতাকে ফাঁকিই দিল কালবৈশাখী

কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি। কোথাও বা শুধুই দমকা হাওয়া। বুধসন্ধ্যায় এ ভাবেই ফাঁকি দিয়ে কলকাতার কান ঘেঁষে চলে গেল কালবৈশাখী।এই লুকোচুরি খেলায় প্রকৃতি কতটা মজা পাচ্ছে, প্রকৃতিই জানে! তবে তুমুল বর্ষণের জন্য তৃষিত মহানগরী স্বল্প ক্ষণের দমকা হাওয়ার সান্ত্বনা পুরস্কারে তৃপ্ত হতে পারেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৩৮
Share:

কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি। কোথাও বা শুধুই দমকা হাওয়া। বুধসন্ধ্যায় এ ভাবেই ফাঁকি দিয়ে কলকাতার কান ঘেঁষে চলে গেল কালবৈশাখী।

Advertisement

এই লুকোচুরি খেলায় প্রকৃতি কতটা মজা পাচ্ছে, প্রকৃতিই জানে! তবে তুমুল বর্ষণের জন্য তৃষিত মহানগরী স্বল্প ক্ষণের দমকা হাওয়ার সান্ত্বনা পুরস্কারে তৃপ্ত হতে পারেনি। কালবৈশাখীর লগ্ন হাজির, পটভূমিও প্রস্তুত। কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবারেও মহানগরের প্রতি সে সদয় হবে কি না, বলতে পারছে না হাওয়া অফিস।

দুই মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকা আর কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি এলাকা অবশ্য ঝড়বৃষ্টিতে কিছুটা স্নিগ্ধ হতে পেরেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর, এ দিন ওড়িশা-বাংলা সীমানায় বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের দিয়ে তা চলে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দিকে। ওই সব জেলার কিছু এলাকা এবং মুর্শিদাবাদে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

আবহাওয়া দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, ওড়িশা-বাংলা সীমানায় বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জের দাপটে কয়েকটি পড়শি রাজ্যের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সন্ধ্যায় আগরতলা, ভুবনেশ্বর, গুয়াহাটিতে আবহাওয়া খারাপ থাকায় পাঁচটি বিমান নামতে পারেনি। সেগুলো কলকাতায় চলে আসে। কলকাতা তাদের কোল দিলেও কালবৈশাখী এ বার এই মহানগরের প্রতি এখনও বিমুখ। কেন?

বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, ঝাড়খণ্ডের ছোটনাগপুর মালভূমি এলাকায় গরম সে-ভাবে বাড়েনি। বাতাসে তেমন জলীয় বাষ্প না-থাকায় বড় আকারের মেঘপুঞ্জ দানা বাঁধতে পারেনি। ছোট ছোট মেঘ তৈরির জেরে বীরভূম, বাঁকুড়ায় ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু সেই মেঘ কলকাতা পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না। আবহবিদদের কেউ কেউ বলছেন, এ বার তাপমাত্রা বাড়ছে। বাড়ছে জলীয় বাষ্পও। কবে মেঘ এসে কলকাতাকে স্বস্তি দেয়, তার আভাস দিতে রেডারে চোখ রাখছে হাওয়া অফিস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement