অনীতকে ‘বরণ’ করল কালিম্পং

কালিম্পং শুধু আলাদা জেলাই হয়নি, এই এলাকা জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রীর খাসতালুক বলেও পরিচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র।

কার্শিয়াং, দার্জিলিং হাতে এসে গিয়েছে। কালিম্পঙের পরিস্থিতি দেখতে মঙ্গলবার সেখান যাচ্ছিলেন মোর্চার আলোচনাপন্থী নেতা অনীত থাপা। কিন্তু তিস্তাবাজারেই থামতে হল তাঁকে। শুধু এক জায়গাতেই নয়, কালিম্পঙে পৌঁছতে এর পর বারবার দাঁড়িয়েছে অনীতের গাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, স্থানীয় মানুষ তাঁকে দাঁড় করিয়ে খাদা দিয়ে ‘বরণ’ করেছেন। এই সংবর্ধনার মধ্যেই বিনয় তামাঙ্গকে ফোন করেন অনীত। পরে তিনি জানান, সব ঠিক থাকলে বুধবার দুপুরে কালিম্পং যাচ্ছেন বিনয়ও।

Advertisement

কালিম্পং শুধু আলাদা জেলাই হয়নি, এই এলাকা জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রীর খাসতালুক বলেও পরিচিত। একই সঙ্গে মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের প্রভাবও এত দিন যথেষ্ট ছিল। সেখানে অনীতকে যে ভাবে স্বাগত জানানো হল, তাতে আলোচনাপন্থীরা খুশি। সূত্রের খবর, দার্জিলিং, কার্শিয়াঙের পরে এ বার কালিম্পং পুরসভার কাউন্সিলরদের কাছে টানতেই বিনয়-অনীতের সফর। এর মধ্যেই স্যামুয়েল গুরুঙ্গ, কল্পনা তামাঙ্গের মতো প্রাক্তন জিটিএ সদস্যরা আলোচনাপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। অনীত নিজে অবশ্য এ দিন কালিম্পং পৌঁছে বলেছেন, ‘‘এত দিন দার্জিলিং থেকে কালিম্পংকে শাসন করা হতো। এ বার থেকে কালিম্পঙের নেতারাই এলাকার সংগঠন, উন্নয়নের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

অনীতের এই সংবর্ধনায় দুশ্চিন্তায় হরকাবাহাদুর-সহ অনেকেই। তবে হরকার সাবধানী মন্তব্য, ‘‘আমরা সব দিকেই নজর রাখছি।’’ চিন্তায় যুব মোর্চাও। দলের এই শাখার নেতৃত্বে ছিলেন প্রকাশ গুরুঙ্গ। তিনি এখন বিমলের মতোই ফেরার। এই অবস্থায় কী করণীয়, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন যুব মোর্চার নেতারা। সংগঠনের কয়েক জন জানান, প্রয়োজনে প্রকাশকে বাদ দিয়ে নয়া কমিটি গড়ে তাঁরা বিনয়-অনীতের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন।

Advertisement

দলের যুব সম্প্রদায়কে কাছে টানতে বিনয়ও বলেন, ‘‘পাহাড়ের যুব সমাজকে গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানেও জোর দিতে হবে। কাজকর্ম না থাকলে তাঁরা আন্দোলন করার শক্তি পাবেন কোথা থেকে!’’ এর মধ্যেই প্রাণনাশেরও হুমকি পেয়েছেন বিনয়-অনীত। কিন্তু তাঁরা সে সব গুরুত্ব দিতে চান না। বরং ১৬ তারিখ পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। জিএনএলএফ-ও এ দিন সুর পাল্টে বলেছে, ‘‘প্রথমে যাব না ভাবলেও আমরা ১৬ অক্টোবরের সর্বদল বৈঠকে যাব। সেখানে যা বলার বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন