কানহাইয়া কুমার।
শুধু সমাবেশ নয়, ‘লং মার্চ’-এও সামিল হবেন কানহাইয়া কুমার। খড়্গপুর থেকে মেদিনীপুরের ‘লং মার্চ’-এ থাকার কথা তাঁর। কর্মসূচি সফল করতে দফায় দফায় প্রস্তুতি বৈঠক সারছে সিপিআইয়ের ছাত্র-যুব সংগঠন। ইতিমধ্যে এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে সংবর্ধনা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হয়েছেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা। শুক্রবারও এক প্রস্তুতি বৈঠক হয়। সন্তোষবাবুর পাশাপাশি বৈঠকে ছিলেন দলের ছাত্র সংগঠন এআইএসএফের জেলা সম্পাদক অভিষেক মাইতি, দলের যুব সংগঠন এআইওয়াইএফের জেলা সম্পাদক মনোজ দে প্রমুখ।
‘লং মার্চ’-এ কানহাইয়া কুমারের থাকার কথা মানছেন সন্তোষবাবু। তাঁর কথায়, “ওডিশা সীমানা পেরিয়ে সোনাকোনিয়া দিয়ে ওই র্যালি আমাদের জেলায় ঢুকবে। পরে দাঁতন, বেলদা, খড়্গপুর হয়ে মেদিনীপুরে পৌঁছবে। খড়্গপুরের চৌরঙ্গিতে কানহাইয়া কুমার এই র্যালিতে যোগ দেবেন। র্যালি মেদিনীপুরে পৌঁছনোর পরে সভা হবে।” এই কর্মসূচি ঘিরে এখন সাজো সাজো রব সিপিআইয়ের অন্দরে। সন্তোষবাবু জানান, ‘লং মার্চ’-এর অভিযাত্রীদের বিভিন্ন জায়গায় বরণ করে নেওয়া হবে। সেই মতো প্রস্তুতি সারা হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে রাজ্যে এসেছিলেন কানহাইয়া। ন’মাস পরে ফের রাজ্যে আসছেন তিনি। কানহাইয়ার এই সফর ঘিরে বামপন্থী, বিশেষ করে সিপিআইয়ের ছাত্র- যুব সংগঠনের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। ‘ভারত বাঁচাও, ভারত বদলাও’-এই স্লোগানকে সামনে রেখেই দেশ জুড়ে ‘লং মার্চ’-এর ডাক দিয়েছে সিপিআইয়ের ছাত্র-যুব সংগঠন। কন্যাকুমারী থেকে হোসেনিওয়ালা পর্যন্ত এই মার্চ হবে। গত ১৫ জুলাই কর্মসূচি শুরুও হয়ে গিয়েছে। শেষ হবে ১২ সেপ্টেম্বর। এ রাজ্যে কর্মসূচির সূচনা হবে ২১ অগস্ট। সমাপ্তি হবে ২৪ অগস্ট। ২১ অগস্টই মেদিনীপুরে আসবেন কানহাইয়া। ওই দিন মেদিনীপুরে সভা হবে। সভাটি হবে শহরের স্পোটর্স কমপ্লেক্সে। সন্তোষবাবু বলেন, “মেদিনীপুরের এই সভা ঐতিহাসিক হবে।”