নবগঠিত পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কন্যাশ্রী প্রকল্পে প্রথম হয়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লক কাঁকসা। ১৪ অগস্ট আসানসোলে পুরস্কৃত হয়েছে ব্লক প্রশাসন। বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রকল্প রূপায়ণে সংশ্লিষ্ট সব তরফের নিরন্তর প্রচেষ্টাই আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছে।’’
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক ভাবে অনগ্রসর এই ব্লকে কন্যাশ্রী প্রকল্প রূপায়ণে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। কন্যাশ্রীর দু’টি ধাপ, কে-১ এবং কে-২— দু’টিতেই সমান নজর ছিল। নতুনদের অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি পুরনোদের নবীকরণে কোনও গাফিলতি রাখা হয়নি। কোনও সমস্যা বা অভিযোগ পেলে সঙ্গে-সঙ্গে তা সুরাহার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লককেই জেলা প্রশাসন বছরের শুরুতে লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখে কাজ শুরু করেছিল ব্লক প্রশসান। কিন্তু শুধু তা পূরণ করাই লক্ষ্য, এমন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেননি তাঁরা, দাবি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নেই আমাদের নজর ছিল। সংখ্যা বা পরিসংখ্যান তাই গুরুত্ব পায়নি।’’ বিডিও বলেন, ‘‘বছর শেষে দেখা যায়, জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি সাফল্য এসেছে।’’
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাল্যবিবাহ রোধ, স্কুলছুটদের ফেরানো, পোলিও সচেতনতা-সহ নানা সামাজিক উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে এই ব্লকের কন্যাশ্রীরা। এই সব কারণেই মিলেছে সাফল্য, মনে করছেন কর্তারা।