রাজ্য এগোলে হবে উড়ালপুল

ভোর থেকে রাত পর্যন্ত শতাধিক বার গেট ওঠানো-নামানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকালের দিকে বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে শুরু করে উত্তরা সিনেমা মোড় পর্যন্ত সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সাইকেল, ভ্যান, মোটরবাইক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৯ ০২:২২
Share:

কাটোয়া রেলগেটে যানজট। নিজস্ব চিত্র

পরীক্ষার্থী থেকে রোগী, রেলগেটের ফাঁসে আটকে থাকতে হয়নি এমন প্রায় কেউই নেই কাটোয়ায়। সকালের ব্যস্ত সময়ে কখনও ১০-১৫ মিনিট, কখনও ঘণ্টা কেটে যায় রেলগেটে। তবে রাজ্য এগিয়ে এলেই দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধান সম্ভব, পরিদর্শনে এসে জানালেন পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ওই কর্তা ঈশাক খান বলেন, ‘‘প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই রেলের অনুমোদন পেয়েছে। তবে রেল ও রাজ্য যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প হবে। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকাই বেশি।’’ কাটোয়া পুরসভার দাবি, একাধিক বার রেল দফতর, প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও চিঠি চালাচালি হয়েছে। তবে লাভ হয়নি। বছর দেড়েক আগে রেলের তরফে উড়ালপুল তৈরির অনুমোদন নিশ্চিতকরণের চিঠি এসেছিল বিধায়ককের কাছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় ‘কমবাইন্ড জিএডি’ (‌জেনারেল অ্যারেঞ্জমেন্ট ড্রয়িং) প্রস্তুতকরণের কাজ চলছে বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এ দিন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রেলের তরফে পরিদর্শন হয়েছিল। তবে উড়ালপুল তৈরিতে স্টেশনবাজার এলাকার বেশ কিছু দোকান সরাতে হবে বলে জানিয়েছিল রেল। আমরাও উড়ালপুল তৈরিতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি।’’

কাটোয়া শহরের অত্যন্ত জরুরি অঙ্গ এই রেলগেট। বাসস্ট্যান্ডে নেমে শহরে ঢুকতে গেলে গেট পার হতে হয়। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত শতাধিক বার গেট ওঠানো-নামানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকালের দিকে বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে শুরু করে উত্তরা সিনেমা মোড় পর্যন্ত সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সাইকেল, ভ্যান, মোটরবাইক। তাড়াহুড়ো করে রেলগেট পেরোতে গিয়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও লেগেই থাকে। কখনও রিকশার ধাক্কায় সাইকেল থেকে পড়ে যান আরোহী, কখনও সার দিয়ে দাঁড়ানো বাইকের পিছনে গাড়ির ধাক্কা লাগতেই শুরু হয় বচসা। সম্প্রতি রেলগেট পেরোনোর সময় একটি আসবাববোঝাই গাড়ির ধাক্কায় ওভারহেড তার ছিঁড়ে বিপত্তি বাধে। তবে উড়ালপুল হলে এই সমস্যা মিটবে, দাবি শহরবাসীর।

Advertisement

এ দিন আহমদপুর শাখাও পরিদর্শন করেন রেলের আধিকারিকেরা। তাঁরা জানান, বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ হলে এই লাইনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্তমানে এই লাইনে এক জোড়া ট্রেন চলে। এ ছাড়াও কাটোয়া স্টেশনে নির্দিষ্ট পার্কিং জোন ও সৌন্দর্যায়নের জন্য গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ডিআরএম। কেশিয়া মাঠপাড়ায় রেলগেট লাগোয়া বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

যাত্রী কমিটির তরফে কিশোর দফাদার বলেন, ‘‘বর্ধমান শাখায় আরও দু’জোড়া, আহমদপুর শাখায় ছ’জোড়া ট্রেন বাড়ানো, প্রতি স্টেশনে ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড, কটোয়ার ১ থেকে ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি ফুটওভার ব্রিজ, বয়স্কদের জন্য র‌্যাম্প চালুর দাবি তোলা হয়েছে।’’ দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেন ডিআরএম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন