Dumdum Airport

দমদম বিমানবন্দরের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে বহুতল তৈরির জন্য লাগবে কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র! হচ্ছে কড়াকড়ি

দমদম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সেই সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই ভাবনাচিন্তার কথা জানানো হয় জনপ্রতিনিধিদের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ১৮:০১
Share:

নিয়মে কড়াকড়ির পথে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ! গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বিমানবন্দরের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনও বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র লাগবে! আগামী দিনে এমনই কড়াকড়ি করতে চলেছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তবে দমদম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সেই সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই ভাবনাচিন্তার কথা জানানো হয়েছে জনপ্রতিনিধিদের।

Advertisement

অহমদাবাদের বিমান বিপর্যয় পরবর্তী সময়ে আরও সাবধানী দমদম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর লাগোয়া অঞ্চলে বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি করার কথা ভাবছেন তাঁরা। বিমানবন্দর সন্নিহিত একাধিক পুরসভাকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরের ২০ কিলোমিটার ব‍্যাসার্ধের মধ্যে কোনও বিশাল আকারের বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সবুজ সঙ্কেত বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবা হচ্ছে। সেটি ছাড়া বহুতল নির্মাণের অনুমতি দেওয়া যাবে না। সূত্রের খবর, মধ্যমগ্রাম, নিউ ব্যারাকপুর, বিধাননগর এবং উত্তর দমদম পুরসভা এর আওতায় আসতে চলেছে।

এত দিন ধরে যে নির্দেশিকা চলে আসছে, সেটি অনুসারে, বিমানবন্দরের ‘ফানেল এরিয়া’র (যে পথে বিমান ওঠানামা করে) অন্তর্গত মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৬, ২৭ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে দোতলার বেশি উঁচু ভবন করা যায় না। পাশাপাশি নিউ ব্যারাকপুরের ফতেশা খালের পাশে বহুতল নির্মাণের জন্য নিতে হয় বিশেষ অনুমতি। সূত্রের খবর, এ বার থেকে বিমানবন্দরের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনও বহুতল তৈরি করতে গেলে আবেদন করতে হবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সেই ছাড়পত্র পাওয়া গেলে, তবে ভবনের ‘প্ল্যানে’ অনুমোদন দেবে সংশ্লিষ্ট পুরসভা। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৪৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত ভবন করতে দেওয়া হয়। এ বার সেই উচ্চতাও নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত লিখিত ভাবে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অনুমান করা হচ্ছে, শীঘ্রই এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি হতে পারে। বস্তুত, অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিপর্যয়ের ঘটনায় একটি বসতি এলাকার মধ্যে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে উড়ানের পরক্ষণেই অহমদাবাদের মেঘানিনগরে একটি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। ওই ঘটনার পরেই আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement