হাসপাতালের জন্য শয্যা কিনে দিলে উচ্চপদে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে হুগলির বাসিন্দা এক যুবককে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ধৃত।
চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অর্পূবকান্ত মজুমদার। তার বাড়ি শিলিগুড়িতে হলেও বর্তমানে সে বন্ডেল রোডের বাসিন্দা। শনিবার তাকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে আটক করে সেখানকার পুলিশ। পরে তাকে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি প্রথমে দাবি করত, তার সঙ্গে সরকারি হাসপাতালের সুপারের ঘনিষ্ঠ পরিচয় রয়েছে। হাসপাতালের জন্য শয্যা কিনে দিলে উচ্চপদে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে হুগলির বাসিন্দা এক যুবককে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ধৃত। অভিযোগকারীর দাবি, প্রথমে তিনি তা বিশ্বাস করেননি। অভিযুক্ত তার বক্তব্যকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে নিজের মোবাইল ফোন থেকে প্রশাসনের উচ্চপদে থাকা মহিলার সঙ্গে কথা বলে। এর পরেই তিনি অভিযুক্তের কথা বিশ্বাস করে তাকে হাসপাতালের শয্যা কেনার জন্য প্রায় চার লক্ষ টাকা দেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, এ ছাড়াও একাধিক প্রতারণার ঘটনায় যুক্ত ধৃত ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে বহরমপুর, শিলিগুড়ি-সহ একাধিক জায়গায় অভিযোগ রয়েছে। কী ভাবে ধরা পড়ল ওই প্রতারক?
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তদন্তকারীরা জানান, ইসিজি কিংবা এমআরআই করার সময়ে রোগীর সব জিনিস খুলে রাখতে হয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগাত ধৃত ব্যক্তি। এসএসকেএম হাসপাতালে ওই পরীক্ষা করাতে আসা রোগীদের সঙ্গে প্রথমে সে আলাপ জমিয়ে নিত। রোগী ভিতরে ঢুকলে তার জিনিস নিজের কাছে রেখে দিত। সুযোগ বুঝেই সে সব নিয়ে চম্পট দিত। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ না হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জমা পড়ছিল। সেই ভিত্তিতে পুলিশ নজরদারি শুরু করে। তদন্তে নেমে এসএসকেএমের পুলিশ জানতে পারে মাথায় কালো ছাতা এবং কাঁধে ব্যাগ নিয়ে এক প্রতারক ঘুরে বেড়ায়। এক পুলিশ অফিসার বলেন, ‘‘শনিবার মহিলা রোগীকে পাকড়াও করে তাঁকে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বোঝানোর সময়ে তা নজরে পড়ে যায় নজরদারি পুলিশের। এর পরেই তাকে আটক করা হয়।’’