Mosquitoes

খাল সংস্কার হল না এক বছরেও, মশার দাপটে অতিষ্ঠ এলাকা

জল মজে গিয়ে খাল হয়ে উঠেছে মশাদের আস্তানা। তাদের উপদ্রবে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। এর সঙ্গে রয়েছে, ভারী বৃষ্টিতে জল জমার আশঙ্কা। উপরের ছবিটা উত্তর কলকাতার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ০৫:২৭
Share:

মশাদের উপদ্রবে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। প্রতীকী ছবি।

স্থানীয় পুরপ্রতিনিধির দাবি, খাল সংস্কারের জন্য তিনি চিঠি দিয়েছিলেন এক বছর আগে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই কাজে হাতই পড়েনি। যার ফলে জল মজে গিয়ে ওই খাল হয়ে উঠেছে মশাদের আস্তানা। তাদের উপদ্রবে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। এর সঙ্গে রয়েছে, ভারী বৃষ্টিতে জল জমার আশঙ্কা।

Advertisement

উপরের ছবিটা উত্তর কলকাতার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি, তৃণমূলের অয়ন চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, বছরখানেক আগে মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং রাজ্যের সেচমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর এলাকার সার্কুলার ক্যানালের দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এলাকায় বাড়ছে মশার দাপট। বিশেষত, নারকেলডাঙা থানা থেকে মানিকতলার বাগমারি সেতু পর্যন্ত অংশে সার্কুলার ক্যানাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা মশাবাহিত রোগে কাবু হয়ে পড়ছেন। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে খালপাড়ের দু’পাশে মশা এতটাই বেড়েছে যে, এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। পুরপ্রতিনিধি চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, খাল সংস্কার না হওয়ায় ভারী বৃষ্টিতে ক্যানাল ওয়েস্ট রোড জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘খাল সংস্কারের জন্য এক বছর আগে চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি। এলাকায় মশাবাহিত রোগের দাপট বাড়ছে। সেচমন্ত্রীর কাছে আবেদন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সার্কুলার খাল সংস্কার করুন।’’

বহু বছর ধরে খাল সংস্কার না হওয়ায় জলে নৌকা নামিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করার তেলও ছড়ানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘খাল সংস্কার না হওয়ায় সমস্যা বাড়ছে। পুর স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করতে পারছেন না।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, সার্কুলার খাল বেলেঘাটা খালের সঙ্গে সংযোগকারী। ওই দীর্ঘ খালের সংস্কার না হওয়ায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড-সহ একাধিক এলাকায় একই সমস্যা হচ্ছে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ, খাল সংস্কার না হওয়ায় এলাকা দুর্গন্ধে ভরে থাকছে। সেই সঙ্গে খালটি নাব্যতা হারানোয় জলপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘এখানে সারা বছর মানুষ ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। অবিলম্বে খাল সংস্কার করা হোক।’’

Advertisement

রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘সার্কুলার ক্যানাল ও বেলেঘাটা খালের সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’’ মন্ত্রী জানান, শহরের বেশির ভাগ খালেরই সংস্কার হয়ে গিয়েছে। কেবল সার্কুলার ক্যানাল ও বেলেঘাটা খালের সংস্কারের কাজ বাকি রয়েছে। তবে কবে থেকে খাল সংস্কারের কাজ শুরু হবে, সে বিষয়ে মন্ত্রী কিছু জানাতে পারেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন