প্রতীকী ছবি।
জিডি বিড়লা স্কুলের মামলায় দুই অভিযুক্তকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার জন্য শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুরে পকসো (প্রটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আদালতের বিচারক রমেশ সিংহ। ওই দু’জনকে টিআই বা শনাক্তকরণ প্যারেডে হাজির করানোর আর্জিও মঞ্জুর করেন তিনি।
অভিষেক রায় ও মহম্মদ মফিজুর নামে দুই অভিযুক্তকে এ দিন ফের আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবী জয়িষ্ণু বসু ও তীর্থঙ্কর রায় আদালতে জানান, ঘটনার (৩০ নভেম্বর) আগে ন’দিন (২১-২৯ নভেম্বর) শিশুটি স্কুলে অনুপস্থিত ছিল। অভিভাবকের তরফে স্কুলকে লেখা চিঠিতে জানানো হয়, গরহাজিরার কারণ অসুস্থতা। সেই চিঠির সঙ্গে চিকিৎসকের রিপোর্টও জমা দেওয়া হয় স্কুলের শিক্ষিকার কাছে। ‘‘স্কুলে ওই শিশুর উপস্থিতি-অনুপস্থিতির সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেই নথি অবিলম্বে আদালতে পেশ করা হোক। শিশুটির অসুস্থতা ঠিক কী ধরনের, আদালতের কাছে তা স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হোক,’’ বিচারকের কাছে আর্জি জানান অভিযুক্তদের আইনজীবীরা।
সরকারি আইনজীবী মাধবী ঘোষের আর্জি ছিল, অভিযুক্তদের জেল-হাজতে রেখে জেরা করার অনুমতি দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে তাদের টিআই প্যারেডে হাজির করানোর বন্দোবস্ত করা হোক।
দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারক স্কুলে ওই শিশুর উপস্থিতির নথি, প্রাথমিক মেডিক্যাল রিপোর্ট, এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিকো লিগ্যাল রিপোর্ট ২২ ডিসেম্বর আদালতে পেশ করার জন্য তদন্তকারীকে নির্দেশ দেন। সম্প্রতি ওই শিশু এবং তার বাবা ও মায়ের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সেই নথিও পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারক। তাঁর নির্দেশ, দুই অভিযুক্তকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখতে হবে। সরকারি আইনজীবীর আর্জি অনুযায়ী সেখানে তাঁদের জেরা করা যাবে। হবে শনাক্তকরণ প্যারেডও।