দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি স্কুলবাস। — নিজস্ব চিত্র
একই দিনে ফের দুর্ঘটনায় দু’টি স্কুলবাস। শুক্রবার সকালে রুবি মোড়ের কাছে নরম মাটিতে চাকা বসে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায় প্রথমটি। বিকেলে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপরে হাওড়াগামী আর একটি স্কুলবাসের ইঞ্জিনে আচমকা আগুন লেগে যায়। পুলিশ জানায়, দুই ক্ষেত্রেই পড়ুয়ারা বাসে ছিল। তবে কোনও ঘটনাতেই কেউ আহত হয়নি। একটি বাসে যান্ত্রিক ত্রুটি এবং অন্যটিতে বাসচালকের গাফিলতিকেই দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করছে পুলিশ।
গত দু’তিন মাসে বারবারই দুর্ঘটনায় পড়েছে স্কুলবাস ও স্কুলগাড়ি। কখনও মারা গিয়েছেন চালক, কখনও আহত পড়ুয়া বা অভিভাবকেরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাস বা গাড়ির চাকার বেহাল অবস্থাই দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। সরকার কড়া হতেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাস ও গাড়ি-মালিকেরা। রাস্তায় নেমে বেহাল চাকার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করতেই এক দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল স্কুলবাস ও গাড়ি পরিষেবা। তার পরে ফের এ দিনের দু’টি দুর্ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ১২ জন পড়ুয়া নিয়ে প্রথম বাসটি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে যাচ্ছিল। গড়িয়ার দিক থেকে রুবি মোড় ছাড়িয়ে সায়েন্স সিটির দিকে একটু এগিয়ে ইউ-টার্ন নিতে গিয়ে বাসের সামনের দু’টি চাকা রাস্তার ধারের কাদায় বসে যায়। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। ট্রাফিক পুলিশের সাহায্যে তাদের অন্য একটি গাড়িতে স্কুলে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে পিচ রাস্তার পাশের মাটিতে জল জমে তা আরও নরম হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও নীচের মাটি সরে গিয়ে ফাঁপা হয়ে গিয়েছে। আপাত ভাবে যা বোঝার উপায় নেই। অভিযোগ, এ দিন
ওই স্কুলবাসের চালক এমনই ভিজে নরম মাটিতেই ইউ-টার্ন নিতে যান। তখনই কাদায় চাকা বসে এক দিকে হেলে পড়ে বাসটি। অবস্থা এমনই ছিল যে, বাসের ভিতর থেকে বেরোতে পারছিল না পড়ুয়ারা।
অন্য দিকে, এ দিন বিকেলে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে একটি স্কুলবাসে আচমকা আগুন ধরে গেলে আতঙ্ক ছড়ায়। ভিতরে ছিল জনা কুড়ি ছাত্রী। তড়িঘড়ি তাদের নামিয়ে আনা হয়। তারা সকলেই অক্ষত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বাসের সাইলেন্সর পাইপ ফেটে এই বিপত্তি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। পরে অন্য একটি স্কুলবাস এনে ছাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।