Arrest

ফিউজ় চুরির জেরে বার বার বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ! গ্রেফতার দুই

দিনকয়েক আগে মানিকতলা থানা এলাকার বাগমারি লেন, সিআইটি বিল্ডিং-সহ একাধিক এলাকায় এই লোডশেডিং আটকাতে আসরে নামে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৩ ০৭:৪৪
Share:

ফিউজ় চুরি করাক অভিযোগে বৃহস্পতিবার দু’জনকে গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেই। অথচ ফিউজ় কেটে বিদ্যুৎ স‌ংযোগ চলে যাচ্ছে বার বার! প্রবল গরমে পর পর এলাকায় এমন ঘটনায় গ্রাহকদের মুহুর্মুহু ফোন। ভোগান্তির কথা জানিয়ে থানাতেও আসছে ফোন। কিন্তু সব ঠিক থাকলেও কেন একের পর এক এলাকায় ফিউজ় উধাও হয়ে লোডশেডিং? এই প্রশ্ন ঘুরছিল বিদ্যুৎ সংস্থার আধিকারিকদের মধ্যে।

Advertisement

দিনকয়েক আগে মানিকতলা থানা এলাকার বাগমারি লেন, সিআইটি বিল্ডিং-সহ একাধিক এলাকায় এই লোডশেডিং আটকাতে আসরে নামে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে যান্ত্রিক গোলযোগের কথা ভেবে বিদ্যুৎ সংস্থা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু একের পর এক ফিউজ় উধাও দেখে সন্দেহ দানা বাঁধে। কয়েকটি এলাকায় একাধিক ফিউজ় উধাও হয়েছে দেখে লালবাজারের দ্বারস্থ হয় সিইএসসি। বিদ্যুৎ সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘পিলার বক্স থেকে পর পর ফিউজ় চুরির ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা চাই পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে। কিন্তু ফিউজ় চুরির মতো বিষয় ভোগান্তি বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়লে ভোগান্তির পাশাপাশি বিপদের আশঙ্কা কমবে।’’

তদন্তে নেমে পুলিশ সাদা পোশাকে নজরদারির পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখে। যে যে দিনে লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, সেই দিনে ওই এলাকার আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হয়। দেখা যায়, রাতের অন্ধকারে ট্রান্সফর্মার থেকে ফিউজ় ‘হাতিয়ে’ নেওয়া হচ্ছে। এর পরেই বৃহস্পতিবার দু’জনকে গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সোমনাথ বর্মণ ও বিভাস পাল। তাদের থেকে ৫৪টি ফিউজ় উদ্ধার করে পুলিশ, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫৬ হাজার টাকা। তাদের জেরা করে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা অবস্থায় ফিউজ় হাতিয়ে নিত অভিযুক্তেরা! এর পরে ফিউজ়ে থাকা তামার তার ও ধাতব অংশ আলাদা করে নিয়ে চড়া দামে বিক্রি করত।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে শহরের বিভিন্ন অংশে সক্রিয় ছিল চক্রটি। মূলত যে সব এলাকায় সিসি ক্যামেরা নেই, সেই এলাকাগুলিকে নিশানা করেছিল তারা। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘আগেও শহরে এমন ফিউজ় চুরির অভিযোগে একাধিক জন গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা অবস্থায় এ ভাবে ফিউজ় হাতানোর বিষয়টি অবাক করেছে। চক্রটির সঙ্গে আরও অনেকে সক্রিয় থাকতে পারে বলে সন্দেহ। ওই ধাতব অংশ কোথায় বিক্রি করত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন