প্রতীকী ছবি।
রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়ি থেকে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন। স্ত্রীকে জানান, ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ফিরবেনে। কিন্তু রবিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচশো মিটার দূরে রাস্তার ধারে ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে খুনের অভিযোগে সোমবার সকালে পুলিশ রাজেশ আলি মোল্লা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। আটক করা হয়েছে আরও এক জনকে।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অনিমেষ সর্দার (৩৫)। বাড়ি বাঁশদ্রোণী। পেশায় ঢাকুরিয়ার একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী অনিমেষবাবু রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন। রাত একটার পরেও বাড়ি না ফেরায় তাঁর মেয়ে অনন্যা সর্দার বাবাকে বারবার ফোন করেন। কিন্তু ফোন বেজে যায়। রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ এসে অনিমেষের মৃত্যু সংবাদ দেয়।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বাঁশদ্রোণীর নতুনবাজারে দক্ষিণ রায়নগর রোডের পাশে একটি চায়ের দোকানের সামনে রাজেশ আলি মোল্লা ও বাপি মণ্ডল নামে দুই স্থানীয় বাসিন্দা মত্ত অবস্থায় তুমুল তর্কাতর্কি করছিল। তা হাতাহাতিতে গড়ালে প্রত্যক্ষদর্শী অনিমেষ প্রতিবাদ করেন। পুলিশ জানায়, তখন অনিমেষ ও তাঁর বন্ধু প্রভাস ছেত্রী ওই এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন। তাঁরাও মত্ত ছিলেন বলে জানায় পুলিশ। প্রভাস চলে গেলেও অনিমেষ হাতাহাতিতে বাধা দিতে যান। পেশায় রিক্সাচালক রাজেশ নিজের বাড়ি থেকে ধারালো বঁটি নিয়ে এসে অনিমেষের ঘাড়ে, পেটে ও পায়ে পরপর আঘাত করে। এর পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তারা।
পুলিশ অনিমেষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল রক্তমাখা মোটরবাইক। দু’টি রক্তাক্ত বঁটিও উদ্ধার হয়েছে। বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরে শিবমন্দিরে অনিমেষের পাড়া এ দিন ছিল শোকস্তব্ধ। মৃতের বাবা কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। তাঁর ডায়ালিসিস চলছে। মা-ও অসুস্থ। অনিমেষের স্ত্রী জয়া বলেন, ‘‘আমার স্বামীর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। যারা খুন করেছে তাদের শাস্তি চাই।’’ ডিসি (এসএসডি) রূপেশ কুমার বলেন, ‘‘তদন্তের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে।’’