ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত ডাকাতির চার দুষ্কৃতী

শপ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, দুষ্কৃতীরা যখন ডাকাতির উদ্দেশে ঢোকে, সে সময়ে লোডশেডিং ছিল। ফলে প্রায় ঘণ্টাখানেক কোনও ফুটেজ রেকর্ড হয়নি। এটা স্রেফ ঘটনাচক্র কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:১২
Share:

এডি ব্লকের এই কফি শপেই হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। নিজস্ব চিত্র

সল্টলেকের এডি ব্লকের কফি শপে ডাকাতির ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করল বিধাননগর কমিশনারেট।

Advertisement

সোমবার সকালে ওই কফি শপের কর্মী, বিড়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর ঘোষকে বেঁধে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছিল চার অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, শুভঙ্কর তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, সকাল ১০টা ২০ নাগাদ অভিযুক্তেরা কফি শপে ঢুকে জানায় বাবু তাদের কাজের জন্য পাঠিয়েছে। শুভঙ্কর তাদের কথায় পাত্তা না দিলে তাঁকে রিভলভার দেখিয়ে ভয় দেখানো

হয় বলে অভিযোগ। এর পরে পরনের এপ্রন দিয়ে হাত-পা ও চোখ বেঁধে পাশে যে পোশাক বদলের ঘর রয়েছে, সেখানে শুভঙ্করকে রেখে দুষ্কৃতীরা প্রায় ১৫ হাজার টাকা লুট করে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রের খবর, শুভঙ্করের বক্তব্য, প্রথমে কফি শপে দু’জন ঢুকেছিল। পরে আসে আরও দু’জন। প্রথম দু’জনের মধ্যে এক জন কালো রঙের জামা পরেছিল।

Advertisement

কমিশনারেট সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে একটি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দারা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, চার যুবক আইল্যান্ডের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে দু’জন সাদা জামা পরে আছে। আরও দু’জনের পরনে রয়েছে কালো ফুলহাতা জামা এবং স্ট্রাইপ শার্ট। দু’জনের পিঠে রয়েছে কালো ব্যাগ।

পুলিশ জানিয়েছে, শুভঙ্কর দুষ্কৃতীদের যে বর্ণনা দিয়েছেন তার সঙ্গে ফুটেজের যুবকদের চেহারার মিল রয়েছে। সল্টলেক এলাকায় এর আগে ওই যুবকদের কোনও অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ার রেকর্ড নেই বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, যে পথ ধরে দুষ্কৃতীদের যেতে দেখা গিয়েছে সেই রাস্তায় অন্য কোনও সিসি ক্যামেরা থাকলে তার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

তবে এখনও এই ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন এবং ধন্দ রয়েছে। কফি শপের সিসি ক্যামেরায় ঘটনার মুহূর্তের কোনও ফুটেজ রেকর্ড হয়নি। শপ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, দুষ্কৃতীরা যখন ডাকাতির উদ্দেশে ঢোকে, সে সময়ে লোডশেডিং ছিল। ফলে প্রায় ঘণ্টাখানেক কোনও ফুটেজ রেকর্ড হয়নি। এটা স্রেফ ঘটনাচক্র কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement