কারচুপি: ব্ল্যাকটেপ লাগিয়ে বদলে ফেলা হয়েছে নম্বর। নিজস্ব চিত্র
কালীঘাটের পরে শেক্সপিয়র সরণি। ফের পাকড়াও চার দুষ্কৃতী। যাদের তিন জন ভিন্ রাজ্যের। বৃহস্পতিবার ওই চার জনকে রাসেল স্ট্রিট থেকে ধরেছে পুলিশ। ধৃতদের এক জন, মহম্মদ আলি আজাদ বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের বাসিন্দা। বাকি তিন জন শেখ আরমান, মহসিন খান ও জাভেদ খানের বাড়ি মুম্বইয়ের শিবাজীনগরে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত তখন সাড়ে ১০টা। হঠাৎই টহলরত পুলিশকর্মীদের চোখে পড়ে, রাসেল স্ট্রিটে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে একটি ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে। তার মধ্যে বসে চার যুবক। গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় ওই পুলিশকর্মীরা গিয়ে দেখেন, ট্যাক্সিটির নম্বর প্লেট এবং তার গায়ে লেখা নম্বর আলাদা। সঙ্গে সঙ্গে ওই চার যুবককে তল্লাশি করতেই দেখা যায়, তাদের হাতে বিভিন্ন অস্ত্র। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ছুরি ও কয়েকটি জায়গার ম্যাপ। ট্যাক্সির মালিকের খোঁজ চলছে।
প্রসঙ্গত, বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ধরা পড়েছিল দুই ডাকাত। ওই দিন পুলিশের কাছে খবর আসে, একটি দোকানে ডাকাতির ছক কষছে কয়েক জন দুষ্কৃতী। কালীঘাট সেতুতে ওঠার আগে তিন যুবককে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে দেখে পুলিশের সেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। সাদা পোশাকে পুলিশকর্মীরা ধরতে গেলে দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি।
তবে এই দুই ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা ধরা পড়লেও ২৭ জুলাই যোধপুর পার্কে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার এখনও কিনারা হয়নি। যদিও লালবাজার থেকে ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তার রেশ না কাটতেই ফের চুরির উদ্দেশে দুষ্কৃতীদের জড়ো হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের।