অগ্নিগ্রাস: জ্বলছে আনন্দপুরের ঝুপড়ি। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র
সোমবার রাতে আগুন লেগেছিল বড়বাজারে। মঙ্গলবার রাতে রুবি হাসপাতালের পিছন দিকে আনন্দপুর এলাকায় ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হল নোনাডাঙা বস্তির ৫০টি ঘর। তবে পুলিশ জানায়, কেউ হতাহত হয়নি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সওয়া সাতটা নাগাদ ওই বস্তির একটি বাড়িতে প্রথমে আগুন লাগে। মিনিট পনেরোতেই তা ছড়িয়ে পড়ে। এ দিন রাতে স্থানীয় বাসিন্দা লাল্টু হালদার বলেন, ‘‘একটা বাড়িতে আগুন দেখতে পাই। নিমেষে চার-পাঁচটি সিলিন্ডার ফাটার শব্দ পেলাম। তখনই ছড়িয়ে পড়ল আগুন।’’
আধ ঘণ্টায় পৌঁছয় পুলিশ, দমকল। দমকলের ৭টি ইঞ্জিন ঘণ্টা দেড়েকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল সূত্রে খবর, ওই সময়ে অধিকাংশ বাসিন্দা ঘরে না থাকায় বড় বিপদ ঘটেনি। তবে আগুনের মাঝে দু’টি শিশু আটকে পড়েছিল বলে জানায় দমকল। পরে তারা উদ্ধার হয়। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এক বৃদ্ধা।
তবে ঠিক কোন ঘর থেকে আগুন লেগেছে, তা নিয়ে রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটেনি। এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমি ঘরেই ছিলাম। আগুনের কথা শুনেই শিশুদের বার করে আনি। মুহূর্তের মধ্যে গোটা ঘরটা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। টাকা, জামা কাপড়, কিছুই নেই।’’
এর পিছনে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করছেন বাসিন্দাদের একাংশ। সন্ধ্যা দলুই নামে এক বাসিন্দার অভিযোগ, বহু দিন ধরেই তাঁদের তুলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সন্ধ্যার আশঙ্কা, ‘‘কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।’’
এই ঘটনার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ও দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কোনও বাসিন্দার ক্ষতি হয়নি, এটাই সুখবর। আপাতত প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ শিবির খুলে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। তাঁদের বাড়ি কী ভাবে তৈরি করা যায়, পরে সিদ্ধান্ত হবে। প্রাথমিক দায়িত্ব মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়া। সেটাই করা হচ্ছে।’’