Form Fill-Up

ফর্ম পূরণের জন্য পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা, বিতর্ক চিত্তরঞ্জন কলেজে

অভিযোগ, ফর্ম পূরণের জন্য পড়ুয়াদের কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকতে দেওয়াও হচ্ছে না। বাইরেই দাদারা ফর্ম পূরণে সাহায্য করছেন। বিনিময়ে সেখানেই পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা করে ওই দাদারা নিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২১ ০৭:৪৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

প্রথম সিমেস্টার পরীক্ষার ফর্ম পূরণের কাজ চলছে এখন কলেজে কলেজে। সেই ফর্ম পূরণের জন্য প্রত্যেক পড়ুয়াকে ‘দাদা’দের ৫০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। মধ্য কলকাতার চিত্তরঞ্জন কলেজে এমনই অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

অভিযোগ, ফর্ম পূরণের জন্য পড়ুয়াদের কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকতে দেওয়াও হচ্ছে না। বাইরেই দাদারা ফর্ম পূরণে সাহায্য করছেন। তার বিনিময়ে সেখানেই পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা করে ওই দাদারা নিয়ে নিচ্ছেন বলে একাধিক পড়ুয়ার অভিযোগ। এ বছর সিমেস্টার পরীক্ষার ফর্ম ভর্তির জন্য কলেজকে কোনও টাকা দিতে হচ্ছে না। চিত্তরঞ্জন কলেজের পক্ষ থেকে যে চালান কাটা হচ্ছে, তাতেও তা স্পষ্ট।

কিন্তু অভিযোগ, দাদাদের দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। যদিও কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায় এ দিন অবশ্য বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরেই পরীক্ষার জন্য ফর্ম পূরণের কাজ চলছে। এমন কোনও অভিযোগ আমি পাইনি। আজ এবং গত শুক্রবার আমি কলেজেই ছিলাম। কেউ এসে কোনও অভিযোগ জানায়নি।’’

Advertisement

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের দাবি, তাঁদের দলের কেউ এ ভাবে টাকা তুলছেন না। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ বাইরে তাদের দাদারা ফর্ম ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিচ্ছেন। পড়ুয়াদের ভিতরেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে কলেজে কলেজে রাজনৈতিক দাদাদের বিরুদ্ধে বার বার টাকা নিয়ে পড়ুয়াদের ভর্তি করানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই সব অভিযোগের পিছনে টিএমসিপির নাম উঠেছে সবার আগে। যার জন্য রাজ্য সরকার এখন কলেজে ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াই অনলাইনে করার নির্দেশ দিয়েছে। গত কয়েক বছর সে ভাবেই ভর্তি হচ্ছেন পড়ুয়ারা।

চিত্তরঞ্জন কলেজ যে অঞ্চলে, সেখানে টিএমসিপিরই আধিপত্য। তবে ওই কলেজে অন্য কোনও দলের দাদারা এসে টাকা তুলছে— এ নিয়ে শিক্ষামহল কিছুটা হলেও সন্দিহান। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘ওই কলেজে টিএমসিপির ছাত্র সংসদ ছিল। ছাত্র সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কলেজে কলেজে টিএমসিপি মৌরসিপাট্টা চালাচ্ছে। এই কলেজেও একই পরিস্থিতি। ওদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে, ওরা তা বুঝছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন