আটক হওয়া গাঁজা। নিজস্ব চিত্র।
ট্রেনের পার্সেল ভ্যানে এসেছে চা পাতা বোঝাই বস্তা। সেই বস্তাগুলির মুখ খুলে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে এল গাঁজা! বুধবার রাতে শিয়ালদহ স্টেশনের ঘটনা। রেল সূত্রের খবর, গুয়াহাটি থেকে আসা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পার্সেল ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ৫০৮ কিলোগ্রাম গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই ২০টি বস্তায় থাকা ৪০৩ কিলোগ্রাম চা পাতাও। তবে এই মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে পাকড়াও করা যায়নি। বাজেয়াপ্ত করা গাঁজার দাম ৫২ লক্ষ টাকার বেশি বলে রেল সূত্রের দাবি।
এই ঘটনায় তাজ্জব বনে গিয়েছেন রেলরক্ষী বাহিনীর (আরপিএফ) কর্তারা। এত বিপুল পরিমাণে গাঁজা শেষ কবে ধরা পড়েছিল তা-ও মনে করতে পারছেন না প্রবীণ অফিসারেরা। এই অভিযানকে নিজেদের বড় ধরনের সাফল্য হিসেবেও দাবি করেছেন আরপিএফের অনেকে।
কী ভাবে ধরা প়়ড়ল এই গাঁজা?
রেল সূত্রের খবর, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পার্সেল ভ্যানে কুড়িটি সন্দেহজনক বস্তা রয়েছে বলে খবর পেয়েছিল আরপিএফ। ট্রেন শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছলে এস পি গুপ্ত এবং এম সিরাজ নামে আরপিএফ-এর দুই ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে একটি দল গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। তখনই বেরিয়ে আসে গাঁজার ওই লুকনো ভাণ্ডার। পরে শিয়ালদহে আরপিএফের সহকারী কমিশনার এ কে পাণ্ডে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ওই গাঁজা ও চা তাদের হাতে তুলে দেন।
আরপিএফ সূত্রের খবর, বস্তাগুলি কোথা থেকে কে পাঠিয়েছিলেন তার খোঁজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আগরতলা থেকে পটনায় পাঠানোর জন্য কুড়িটি বস্তার বুকিং করা হয়েছিল।
আরপিএফের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মুর্শিদাবাদ-সহ বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিতে মাদক পাচারের চক্র কাজ করে। সেই কারণেই ওই সব এলাকা থেকে আসা ট্রেনে নজরদারি চালানো হয়। কিন্তু এক্সপ্রেস ট্রেনের পার্সেল ভ্যানে চায়ের বস্তায় পুরে মাদক পাচারের এমন ছক যে চালু হয়েছে, তা এর আগে জানা যায়নি। ভবিষ্যতে পার্সেল ভ্যানের উপরে আরও বেশি নজরদারি রাখা হবে বলে রেল সূত্রের দাবি।