প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে মৃত্যু সন্ন্যাসীর

জনৈক সুব্রত মল্লিক জানান, ঘটনার সময়ে সন্ন্যাসীর কাছাকাছিই ছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪৮
Share:

স্বামী চৈতন্যানন্দ

রবীন্দ্র সরোবরে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। শনিবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, বেঙ্গল রোয়িং ক্লাবের মূল ফটকের পাশে সরোবরের গেটের কাছে ওই প্রৌঢ় অসুস্থ বোধ করে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। কয়েক জন প্রাতর্ভ্রমণকারী ও রবীন্দ্র সরোবর ফাঁড়ির পুলিশকর্মীরা তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ওই প্রৌঢ়কে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের নাম স্বামী চৈতন্যানন্দ (৫৯)। তিনি শরৎ বসু রোডের একটি ধর্মীয় সংগঠনের সন্ন্যাসী ছিলেন।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ওই সন্ন্যাসী প্রায়ই রবীন্দ্র সরোবরে হাঁটতে যেতেন। এ দিন সকাল ন’টাতেও তিনি আশ্রমে না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ শুরু হয়। বিকেলে পুলিশের কাছ থেকে আশ্রম কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, তিনি মারা গিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, চৈতন্যানন্দের পরনে ছিল লাল রঙের গেঞ্জি ও নস্যি রঙের ট্র্যাক প্যান্ট। মাথায় গেরুয়া টুপিও ছিল। ট্র্যাক প্যান্টের পকেট থেকে কিছু টাকা, একটি দেশলাই ও একটি চাবি মিলেছে। প্রাথমিক ভাবে তাঁর দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। সুরতহালের পরে মৃতদেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যেতে পারে। তবে পুলিশের অনুমান, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েই চৈতন্যানন্দ মারা গিয়েছেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা, জনৈক সুব্রত মল্লিক জানান, ঘটনার সময়ে ওই সন্ন্যাসীর কাছাকাছিই ছিলেন তিনি। তিনি এবং অন্য কয়েক জন ওই সন্ন্যাসীর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। সেই সময়ে চৈতন্যানন্দ মাটিতে পড়ে ছিলেন। পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হলে সেখান থেকে দু’জন অফিসার চলে আসেন। প্রাতর্ভ্রমণকারীদের কয়েক জন বুকে চাপ দিয়ে ওই ব্যক্তির হৃৎযন্ত্র স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। তাতে কাজ হচ্ছে না দেখে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ দিন বিকেলে ওই ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, সন্ন্যাসীর মৃত্যু সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন