প্রতীকী ছবি।
স্কুলবাস থামিয়ে পড়ুয়াদের সামনেই এক অ্যাপ-ক্যাব চালককে হকিস্টিক দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল বাসের চালক ও খালাসির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার, হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর ঘটনা। অভিযুক্ত স্কুলবাসের চালক ও খালাসিকে আটক করেছে হাওড়া থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চালক ও খালাসির নাম রেজ্জাক মোল্লা এবং শিবু দাস। আহত অ্যাপ-ক্যাবের চালক চালক দীনেশ চৌধুরীকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল ৪টে নাগাদ ছুটি হওয়ার পরে কলকাতার একটি স্কুল থেকে স্কুলবাসে চেপে বাড়ি ফিরছিল বিভিন্ন শ্রেণির পড়ুয়ারা। বেশির ভাগ পড়ুয়াকে নামিয়ে দেওয়ার পরে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৮-১০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে হাওড়ার বঙ্গবাসী মোড় থেকে বাসটি বঙ্কিম সেতুতে ওঠার সময় তার সামনে ছিল একটি অ্যাপ-ক্যাব। স্কুলবাসের চালকের অভিযোগ, পড়ুয়াদের নামানোর তাড়া থাকায় বারবার হর্ন দিচ্ছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও অ্যাপ-ক্যাব চালক পাশ কাটিয়ে যাওয়ার রাস্তা দিচ্ছিলেন না।
যদিও অ্যাপ-ক্যাব চালকের দাবি, তাঁর সামনে অন্য গাড়ি থাকায় তিনিও বেরোনোর জায়গা পাচ্ছিলেন না। কিন্তু সে সব না বুঝে স্কুলবাসের চালক প্রথমে তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মারেন। অভিযোগ, তিনি গাড়ি থেকে নেমে প্রতিবাদ করায় বাসের চালক ও খালাসি হকিস্টিক হাতে গাড়ি থেকে নেমে দীনেশবাবুকে ঘটনাস্থলেই বেধড়ক মারধর করেন। বচসা ও মারধরের ঘটনা চলে প্রায় আধ ঘণ্টা। আশপাশের লোকজনই ছুটে এসে বাসচালক ও খালাসিকে ধরে ফেলেন। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বাসে থাকা পড়ুয়ারা। ঘটনার জেরে বঙ্কিম সেতুতে যানজট তৈরি হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাওড়া থানার টহলদারি ভ্যান। অ্যাপ-ক্যাবের চালককে উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে পাঠানোর পরে স্কুলবাস চালক ও খালাসিকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে অন্য চালকের ব্যবস্থা করে স্কুল পড়ুয়াদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।