এগারো দিন জলসা, দুর্ভোগ এলাকাবাসীর

স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় যুব দিবস পালন করতে প্রথমে হয় পদযাত্রা। আর তার পরে টানা এগারো দিন ধরে চলল মেলা ও জলসা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৫
Share:

এ কেমন বিবেক!

Advertisement

স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় যুব দিবস পালন করতে প্রথমে হয় পদযাত্রা। আর তার পরে টানা এগারো দিন ধরে চলল মেলা ও জলসা। কামারহাটি রথতলার একটি সংগঠনের এই দুই অনুষ্ঠানের জোড়া ফলায় কার্যত নাভিশ্বাস উঠল সাধারণ নাগরিকদের। যদিও উদ্যোক্তাদের দাবি, সব রকম অনুমতি নিয়েই পদযাত্রা ও মেলা করা হয়েছে। আর তাতে মানুষ স্বেচ্ছায় ভিড় জমিয়েছেন।

প্রতি বছরই কামারহাটির ওই সংগঠন বিবেক উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা খোদ কামারহাটি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ বিমল সাহা। এক জন জনপ্রতিনি‌ধি হিসেবে বিমলবাবুর ‘বিবেক’ কি এমন ভোগান্তিকে সমর্থন করছে? তিনি বলেন, ‘‘মেলায় প্রচুর মানুষ নিজে থেকেই ভিড় জমিয়েছেন। তবে এটা অস্বীকার করছি না যে অনেক মানুষের সমস্যাও হয়েছে। পরের বার থেকে আরও সুষ্ঠু ভাবে মেলার কী ব্যবস্থা করা যায় সে দিকে নজর দেব।’’

Advertisement

গত বছর ১২ জানুয়ারি দুপুরে কামারহাটি থেকে ডানলপ শোভাযাত্রা করায় তীব্র যানজট হয়েছিল বিটি রোডে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এ বার শোভাযাত্রার রুট বদলালেও ভোগান্তি এতটুকুও কম হয়নি বলেই অভিযোগ। এ বছর কামারহাটি পুরসভার সামনে থেকে শুরু করে বিটি রোড ধরে কিছুটা গিয়ে নীলগঞ্জ রোডে ঢুকেছিল শোভাযাত্রা। আর যার ফলে এ বার শুধু বিটি রোড নয়, চরম ভোগান্তি হয় নীলগঞ্জ রোডেও। কারণ, বিটি রোডের সমান্তরাল রাস্তা এই নীলগঞ্জ রোড। অনেকেই বিটি রোডের যানজট কাটাতে ওই রাস্তা ব্যবহার করেন। আবার অনেক রুটের বাসও যাতায়াত করে।

শোভাযাত্রার পরের দিন অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি ওই নীলগঞ্জ রোডের ধারেই দেশপ্রিয় নগর ২ নম্বর খেলার মাঠে বসেছিল মেলা। সেখানে মেলার পাশাপাশি টানা ১১ দিন ধরে চলেছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অভিযোগ, প্রতি দিন সন্ধ্যা থেকে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ত নীলগঞ্জ রোড। রাস্তার ধারে মোটরবাইক, গাড়ি পার্কিং থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার ভিড় লেগেই থাকতো। ফলে অনেকেই না জেনে বুঝে ওই রাস্তায় ঢুকে যানজটে ফেঁসেছেন। অগত্যা নীলগঞ্জ রোডের মাঝে বিটি রোডের সংযোগকারী কোনও গলিতে গাড়ি ঢুকিয়ে কোনও মতে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘মেলা-উৎসব হোক, তাতে আপত্তি করছি না। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথাও তো ভাবা প্রয়োজন।’’

কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘আমরা মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। রাস্তা ব্যবহারের নয়। বিমলবাবু জনপ্রতিনিধি, মেলার পাশাপাশি রাস্তা যাতে অবরুদ্ধ না হয় সে দিকে তাঁর দিকে নজর দেওয়া উচিত। ওঁকে এ বিষয়ে আরও সজাগ হতে বলব।’’ আবার এক পুলিশকর্তার মতে, ‘‘মাঠ থেকে ভিড় যাতে রাস্তায় না আসে তা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তাদের ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে পরের বার আরও বেশি স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা রাখতে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement