স্বপ্নের বেড়ানো আর সার্থক হল না।— প্রতীকী ছবি।
চলতি বছরের গোড়ায় সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সল্টলেকের ভাস্কর ও মলি পাল। সেই মতো যোগাযোগ করেছিলেন এক পর্যটন সংস্থার সঙ্গে। গত ৩১ মার্চ প্যাকেজ ট্যুরের পুরো দেড় লক্ষ টাকা ও পাসপোর্ট জমা করেছিলেন ওই সংস্থার সিইও-র কাছে। গত ১৮ এপ্রিল ছিল তাঁদের বিমান। কিন্তু তার আগে পাসপোর্ট, ভিসা কিছুই পাননি তাঁরা। পর্যটন সংস্থার অফিসে যোগাযাগ করলে প্রাথমিক ভাবে তাঁদের ভিসা সমস্যার কথা জানানো হয়। এর পর একে একে ২০ এপ্রিল ও ২২ এপ্রিলের উড়ানে তাঁদের পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হলেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত তাঁদের হাতে প্রয়োজনীয় নথি এসে পৌঁছয়নি। ওই সংস্থার সিইও-র সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনাটি জানিয়ে শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিধাননগর (দক্ষিণ) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পাল দম্পতি ও আরও এক ব্যক্তি। পুলিশ ওই সংস্থার দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। মলি পাল বলেন, ‘‘ব্যবসার সূত্রে গত তিন-চার বছর ধরে পরিচয় ছিল ওই সংস্থার সিইও-র সঙ্গে। সেই বিশ্বাস থেকেই একেবারে পুরো টাকাটা পেমেন্ট করে দিয়েছিলাম। এর আগে ওঁর ট্রাভেল কোম্পানির মাধ্যমে কোথাও বেড়াতে যাইনি। এখন তো দেখছি এরা প্রতারক!’’
আরও পড়ুন, ‘ওদের অবসাদ দেখে ভয় পাচ্ছি’
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগের অংশ।
তবে এই ঘটনা শুধু পাল দম্পতির সঙ্গেই ঘটেছে তাই নয়। একই ভাবে ভুক্তভোগী আরও ১৪-১৫ জন পর্যটক। সকলেই এই সংস্থার দ্বারা প্রতারিত বলে অভিযোগ। কলকাতায় ওই সংস্থার সল্টলেক ও সাউথ সিটির দু’টি অফিসই এ দিন বন্ধ ছিল। উত্তেজিত জনতা এ দিন ওই সংস্থার সল্টলেক অফিসে ভাঙুচর চালায়। সংবাদমাধ্যমের তরফে একাধিক বার ওই সংস্থার অফিসে ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।