SIM Card

নতুন সিম নিতে গিয়ে জুটল লখনউ পুলিশের নোটিস!

অভিযোগকারীর দাবি, চলতি মাসে তিনি গাজিপুর থানা থেকে একটি নোটিস পান। তাতে প্রতারণার একটি মামলার প্রসঙ্গের উল্লেখ ছিল। ওই নোটিস পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাঁকে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

রাজীব চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৩ ০৭:৪৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মোবাইলে আকর্ষণীয় ডেটা প্যাকের অফার শুনে সিম কার্ড নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থার কর্মীদের কাছে কিছু নথি জমা করেছিলেন বরাহনগরের এক যুবক। তাঁর দাবি, সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, সে সব নথি ব্যবহার করে তাঁর নামে খোলা একটি অ্যাকাউন্ট থেকে বহু লক্ষ টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের লখনউ জেলার গাজিপুর থানার নোটিস পেয়ে বরাহনগর থানায় অভিযোগ জানান মহারাজা নন্দকুমার রোডের ওই বাসিন্দা। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

গত ২৩ জুলাই বরাহনগর থানায় দায়ের করা অভিযোগে ওই যুবকের দাবি, জানুয়ারিতে লেক ভিউ পার্ক এলাকায় তাঁর নজরে আসে, রাস্তার ধারে শিবির করেছেন একটি টেলিকম সংস্থা ও একটি ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা। তাঁদের থেকে জানতে পারেন, ওই টেলিকম সংস্থার আকর্ষণীয় ডেটা প্যাকের কথা। ওই ব্যক্তি তার জন্য নিজের আধার কার্ডের প্রতিলিপি-সহ কিছু নথি জমা দেন। ওই সংস্থার কর্মীরা তাঁর ছবি তোলেন এবং আশ্বাস দেন, নতুন সিম কার্ড কুরিয়রে বাড়িতে পৌঁছে যাবে। কিন্তু তিনি নতুন সিম কার্ড পাননি।

অভিযোগকারীর দাবি, চলতি মাসে তিনি গাজিপুর থানা থেকে একটি নোটিস পান। তাতে প্রতারণার একটি মামলার প্রসঙ্গের উল্লেখ ছিল। ওই নোটিস পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাঁকে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগকারী জানান, বিপুল পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিসটি পাঠানো হয়েছে। এর পরে তিনি গাজিপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করলে নোটিস সংক্রান্ত কিছু নথি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়। তা দেখে ওই যুবক জানতে পারেন, তাঁর নামে একটি মোবাইল নম্বর চালু ছিল। অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ওই টেলিকম সংস্থার কাছে জমা দেওয়া নথি ব্যবহার করে তাঁর নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের বাগবাজার শাখায় যোগাযোগ করে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট নিয়ে তিনি দেখেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টে সাড়ে সাত লক্ষেরও বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে। তাঁর সন্দেহ, গোটা অপরাধের পিছনে সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থা ও ব্যাঙ্কের কিছু কর্মীর যোগসাজশ থাকতে পারে।

Advertisement

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তথা আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ, ‘‘ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কিত নথি দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। সাইবার জগতে সর্বত্র প্রতারণার জাল পাতা। সামান্য অসতর্ক হলে বিপদ আসতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন