Sexual Harassment

কিশোরীকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, ২০ বছরের জেল জামাইবাবুর

মামলাটি গত বছরের এপ্রিলের মানিকতলা থানা এলাকার। আদালত সূত্রের খবর, নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল ওই ব্যক্তির। তার গাড়ির ব্যবসা রয়েছে। ভাড়াতেও গাড়ি খাটাত সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০৫:৪৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ইকো পার্কে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউ টাউনের একটি হোটেলে। সেই হোটেলেই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার জামাইবাবু। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ওই ব্যক্তিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল শিয়ালদহের বিশেষ পকসো আদালত। সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। পাশাপাশি, নির্যাতিতা নাবালিকাকে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার বিচারক অনির্বাণ দাস এই রায় শুনিয়েছেন।

Advertisement

মামলাটি গত বছরের এপ্রিলের মানিকতলা থানা এলাকার। আদালত সূত্রের খবর, নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল ওই ব্যক্তির। তার গাড়ির ব্যবসা রয়েছে। ভাড়াতেও গাড়ি খাটাত সে। এমনকি, নির্যাতিতা কিশোরীকে মাঝেমধ্যে স্কুলে দিয়ে এবং নিয়েও আসত। গত বছরের ৮ এপ্রিল স্কুল ছুটি ছিল মেয়েটির। তবে তার বাড়ির লোকজন তা জানতেন না। সেই সুযোগ নিয়ে ওই দিন মেয়েটিকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে বেরোয় ওই ব্যক্তি। কিশোরী বেরোয় স্কুলের পোশাক পরে। মাঝরাস্তায় জামাইবাবু তাকে জানায়, স্কুল ছুটি থাকায় তাকে সে বেড়াতে নিয়ে যাবে।

মামলার সরকারি আইনজীবী অসীম কুমার জানান, বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ওই কিশোরীকে নিউ টাউনের একটি হোটেলে নিয়ে যায় ওই ব্য়ক্তি। নাবালিকাকে পরিচয় দেয় তার মেয়ে বলে। কয়েক ঘণ্টার জন্য হোটেলের ঘর ভাড়া নেয় সে। পরিচয়পত্র হিসাবে নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে ওই ব্য়ক্তি। ওই হোটেলেই তাকে ধর্ষণ করে সে। বিকেলে মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে দেয় ওই ব্যক্তি।

Advertisement

ওই রাতে মেয়েটির পেটে ব্যথা শুরু হওয়ায় তাকে তার মা আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যান। তখনই ধর্ষণের ব্যাপারটি জানাজানি হয়। এর পরেই মায়ের কাছে সমস্ত ঘটনা বলে নির্যাতিতা নাবালিকা। পরের দিন নাবালিকার মা মানিকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে সে দিনই অভিযুক্ত জামাইবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত শনিবার আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল ওই ব্য়ক্তিকে। সোমবার হল সাজা ঘোষণা। অসীম বলেন, ‘‘এই মামলায় ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলা চলাকালীন জামিন পাননি অভিযুক্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন