কৃষককে পিষে দিল বাস, বিক্ষোভ চৌবাগায়

মাথায় আনাজ নিয়ে রাস্তা পেরোচ্ছিলেন এক কৃষক। তখনই একটি বাস তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চৌবাগায়, বাসন্তী হাইওয়ের উপরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৩৬
Share:

দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়দের বিক্ষোভ। রবিবার, চৌবাগায়। নিজস্ব চিত্র

মাথায় আনাজ নিয়ে রাস্তা পেরোচ্ছিলেন এক কৃষক। তখনই একটি বাস তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চৌবাগায়, বাসন্তী হাইওয়ের উপরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অজয় হালদার (৪০)। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু ক্ষণ বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ হাজির হলে অবরোধ উঠে যায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার দুপুর দু’টো নাগাদ আনাজ মাথায় নিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে পার হচ্ছিলেন সোনারপুরের বাসিন্দা অজয়বাবু। তিনি ধাপার মাঠে আনাজের চাষ করেন। সেই সময়ে একটি

বেপরোয়া বাস তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রাস্তার মাঝে রক্তাক্ত অবস্থায় অজয়বাবুর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। চৌবাগার এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হয়ে মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

Advertisement

বিক্ষোভ সামলাতে আনন্দপুর, প্রগতি ময়দান, সার্ভে পার্ক এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই দু’টি স্কুল রয়েছে। দু’দিক দিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করায় স্কুলপড়ুয়াদের রাস্তা পার হতে সমস্যা হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য খালের উপরে সম্প্রতি একটি সেতু তৈরি হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, সেতু পেরোলেই বাসন্তী হাইওয়ে। কিন্তু ওই জায়গায় কোনও ট্র্যাফিক সিগন্যাল নেই। এমনকি, সব সময়ে পুলিশও মোতায়েন থাকে না বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘মাঝেমধ্যে এখানে এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা গেলেও তিনি বেশির ভাগ সময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।’’ যদিও পুলিশের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

এ দিন দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন থানা ও ট্র্যাফিক গার্ডের পদস্থ কর্তারা। পুলিশ

সূত্রের খবর, এ দিনের দুর্ঘটনার পরে ওই জায়গায় চব্বিশ ঘণ্টা ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে চৌবাগা ও বাসন্তী হাইওয়ে মোড়ে ট্র্যাফিক সিগন্যাল বসানো যায়

কি না, চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পুলিশ। এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘রাস্তা পারাপারের সময়ে পথচারীরা সাবধান হলে এই ধরনের দুর্ঘটনা কমবে।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি, ওই এলাকায় আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে।

গাড়ির বেপরোয়া গতিই এর কারণ। মৃতের ছেলে বিজয় হালদারের অভিযোগ, ‘‘ওই গাড়ির চালককে রাত পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই চালকের কড়া শাস্তি হোক এটাই চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন