রবীন্দ্র সরোবরে জল থেকে উদ্ধার কিশোরের দেহ

এ দিনের ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে, সরোবরে নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও নজর এড়িয়ে বাইরের কেউ বেশি গভীর জলে নামেন কী ভাবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৯ ২৩:৪৫
Share:

এই সুইমিং পুলের গভীর অংশ থেকেই উদ্ধার হয়েছে কিশোরের দেহ। বুধবার, রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে। নিজস্ব চিত্র

রবীন্দ্র সরোবর চত্বরের পাবলিক সুইমিং পুলে এক কিশোরের দেহ উদ্ধার করা হল বুধবার। রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ এ দিন সকাল ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ দেহটি উদ্ধার করে। এসএসকেএম হাসপাতালে দেহটির ময়না-তদন্ত হওয়ার কথা। তবে কী ভাবে বছর সতেরোর ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে এ দিন রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটেনি। কিশোরের পরিচয়ও জানা যায়নি।

Advertisement

এই ঘটনায় সরোবর চত্বরে ওই সুইমিং পুলের নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই পুলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র (কেএমডিএ) উপরে। পুলিশের পাশাপাশি ওই সংস্থাও এই ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, রবীন্দ্র সরোবর চত্বরের এই সুইমিং পুলটি সকাল ৬টা থেকে বেলা ১০টা এবং বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এই সময়ে যে কেউ এই সুইমিং পুলে নামতে পারেন। পুলের মাঝের কিছুটা অংশ সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে রেলিং দিয়ে ঘেরা রয়েছে। ওই অংশে জলের গভীরতা প্রায় তিন ফুট। তবে রেলিংয়ের বাইরের অংশে জলের গভীরতা অনেকটা বেশি। এ দিন বেশি গভীর অংশেই দেহ ভাসতে দেখেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। এই সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে আসা এক ব্যক্তি বলছেন, ‘‘অনেকে জলের বেশি গভীর অংশে গিয়ে কসরত দেখান। তাতেই বিপদ ঘটে থাকতে পারে।’’ তাঁর দাবি, ওই এলাকার পাশে রয়েছে পঞ্চান্নতলা বস্তি। মৃত কিশোর সেখানকার বাসিন্দা হতে পারে।

Advertisement

এর আগে রবীন্দ্র সরোবরে জলে এবং সুভাষ সরোবরের সুইমিং ক্লাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই প্রেক্ষিতে সরোবরের নিরাপত্তা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি কেএমডিএ আধিকারিকদের। এ দিনের ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে, সরোবরে নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও নজর এড়িয়ে বাইরের কেউ বেশি গভীর জলে নামেন কী ভাবে? প্রাতর্ভ্রমণকারীরা দেহ দেখতে পেলেও নিরাপত্তারক্ষীরা দেখতে পেলেন না কেন? ওই পুলে সাঁতার কাটতে আসা আর এক ব্যক্তি বলছেন, ‘‘বেশি জলের অংশে গেলে বারণ করার কেউ নেই। নিরাপত্তারক্ষীরা অনেক সময়েই থাকেন না। শুধু নিয়ম করে পুলের গেট খোলা-বন্ধ করা হয়।’’ তাঁর এ-ও অভিযোগ, কেউ জলে নামার আগে তিনি সাঁতার জানেন কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয় না! রবীন্দ্র সরোবর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বললেন, ‘‘কেএমডিএ-র নিরাপত্তারক্ষী কাজ না করলে আমরা কী করব?’’ কেএমডিএ-র এক আধিকারিক এ নিয়ে বলছেন, ‘‘নিরাপত্তার গাফিলতি আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সুভাষ সরোবরের ঘটনার পরে সতর্ক হয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন