ভরসা বায়ো-টয়লেট

এ কাজে একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংস্থার কর্ণধার বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, যুবভারতীর বাইরে মোট ৬০টি বায়ো-টয়লেট বসানো হয়েছে। স্টেডিয়ামের পাঁচটি প্রবেশপথে দু’টি করে দশটি এবং তার আশপাশে আরও দশটি বায়ো-টয়লেট বসানো হয়েছে।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৫৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববাংলায় অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ— সেই আয়োজন ঘিরে ফুটবল পাগল শহরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আর তাই সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ভিতর এবং বাইরের সৌন্দর্যায়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বিধাননগর পুরসভা। খোলা জায়গায় প্রস্রাব এ ক্ষেত্রে বড় বাধা। এ শহরে যত্রতত্র প্রস্রাব করার বদনাম রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই স্টেডিয়ামের বাইরের চত্বরে ছড়িয়ে রাখা হয়েছে বায়ো-টয়লেট। এ ভাবে শহর ‘সাফ-সুতরো’ রাখতে বদ্ধ পরিকর পুর প্রশাসন।

Advertisement

এ কাজে একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংস্থার কর্ণধার বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, যুবভারতীর বাইরে মোট ৬০টি বায়ো-টয়লেট বসানো হয়েছে। স্টেডিয়ামের পাঁচটি প্রবেশপথে দু’টি করে দশটি এবং তার আশপাশে আরও দশটি বায়ো-টয়লেট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ফুটপাথ, পার্কিং-এর জায়গা এবং স্টেডিয়াম চত্বরে আরও চল্লিশটি বায়ো-টয়লেট রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। মিলনমেলার পার্কিং-এর জায়গায় কলকাতা পুরসভা থেকে ছ’টি বায়ো-টয়লেট বসানো হয়েছে।

বায়ো-টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখতে মোট ৪০ জন সাফাইকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বায়ো-টয়লেট থেকে কেউ বার হওয়ার পরেই বিশেষ কেমিক্যাল ও সুগন্ধী স্প্রে করার জন্য সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য রাখা হয়েছে দু’টি বড় কম্প্যাক্টরও। ভিড় কমলেই বিভিন্ন জায়গার জঞ্জাল সংগ্রহ করে কম্প্যাক্টরে ফেলা হবে। রবিবার থেকে যুবভারতী স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয়েছে। যে দিন বিশ্বকাপের খেলা থাকবে, সেই সব দিনে পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় বিশেষ নজরদারি থাকবে।

Advertisement

স্টেডিয়ামের ভিতরে দর্শকাসনের জায়গা পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। খেলা চলাকালীন মাঠের ভিতর থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করবে ফিফা অনুমোদিত একটি সংস্থা। ওই সংস্থার কর্মীরা র‌্যাম্পের নীচে রাখা পুরসভার কেন্দ্রীয় ভ্যাটে সেই আবর্জনা জড়ো করবেন। সেখান থেকে কম্প্যাক্টরে ফেলার কাজ করবে বিধাননগর পুরসভা।

বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানার বক্তব্য, বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা এই
পুর এলাকায় হচ্ছে। খেলার দিনগুলিতে এক সঙ্গে কয়েক হাজার দর্শকের সমাগম হবে স্টেডিয়াম চত্বরে। সেই ভিড়েও যেন পরিষ্কার থাকে চারদিক সে কথা ভেবেই বিশেষ নজর রাখছে প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন