Fire Accident

মধ্যরাতে ঘরে আগুন, পুড়ে মৃত্যু ঘুমন্ত যুবকের

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, লেক গার্ডেন্সে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন ওই যুবক। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। নিয়মিত মদ্যপানও করতেন। ওই দিন বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২৪ ০৭:৫২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মধ্যরাতে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছিলেন এক যুবক। এর পরে চারতলা বাড়ির উপরের তলার ঘরে ঢুকে যান তিনি। রাত আড়াইটে নাগাদ সেই ঘর থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বেরোতে দেখে বাড়ির সদস্যেরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। দ্রুত খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলকর্মীরা এসে আগুন নেভানোর পাশাপাশি, অগ্নিদগ্ধ ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বুধবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় জখম ওই যুবকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সপ্তর্ষি মিত্র (২৮)। তিনি লেক থানা এলাকার লেক গার্ডেন্সে থাকতেন। মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ লেক গার্ডেন্সের বাড়িতেই অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, লেক গার্ডেন্সে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন ওই যুবক। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। নিয়মিত মদ্যপানও করতেন। ওই দিন বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতে মদ্যপান করে বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া না করেই ঘরে চলে গিয়েছিলেন। রাতে সেই ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কিন্তু তখন ঘুমিয়ে থাকায় ঘরের ভিতরেই আটকে পড়েন সপ্তর্ষি। নীচের ঘরে থাকা বাবা-মা আগুন দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। এর পরে প্রতিবেশীরা এসে দমকলে খবর দেন। দমকলকর্মীরা এসে অগ্নিদগ্ধ যুবককে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠান। ঘটনাস্থলে এসে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় সপ্তর্ষির। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরের ৫০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল।

এ দিকে, এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আজ, বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলের ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রাতে ঘরে বসে ধূমপান করছিলেন মত্ত ওই যুবক। সেই অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ায় বিছানায় কোনও ভাবে আগুন লেগে যায়।

Advertisement

এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘বিড়ি বা সিগারেটের আগুন থেকেই এই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে ঘটনাস্থলের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হবে। তার পরেই আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন