পুলিশি নজরদারির দাবিতে অবরোধ। মঙ্গলবার, ঘোলায়। নিজস্ব চিত্র
পথ দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে উত্তেজনা ছড়াল ঘোলা থানার নমাজপাড়া মোড় এলাকায়। ওই ঘটনার জেরে এলাকার বাসিন্দারা কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করে। পুলিশের কোনও নজরদারি নেই। ঘণ্টাখানেক চলার পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত আবদুল সাত্তার মাঝির (৭০) বাড়ি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া নমাজপাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন একটি চায়ের দোকান থেকে বেরিয়ে রাস্তা পেরোচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ে একটি মালবাহী ছোট ট্রাক তাঁকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার পরেই এলাকার বাসিন্দারা গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ শুরু করেন। যার জেরে রাস্তার দু’দিকে প্রচুর গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে আবদুলের মৃত্যুর খবর আসতে উত্তেজনা বাড়ে। প্রচুর মানুষ জড়ো হন। কয়েক জন গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাস্তায় পুলিশের কোনও নজরদারি নেই। সারা দিনই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এর আগেও বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছে ওই এলাকায়। তার পরে বারবার বলা হলেও পুলিশের নজরদারি বাড়েনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ কখনও সখনও টহল দিতে বেরোলেও গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা থাকে না। তারা হেলমেটহীন বাইক ধরা আর মালবোঝাই লরি থেকে টাকা আদায়েই ব্যস্ত থাকে। যদিও পুলিশের বক্তব্য, পুলিশ নিয়মিত ওই রাস্তায় টহল দেয়। টাকা তোলার অভিযোগও ঠিক নয়।
পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রথমে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে অভিযুক্ত চালককে ধরার ও নিয়মিত টহলদারির আশ্বাস দিলে ঘণ্টাখানেক পরে অবরোধ ওঠে।