চলছে মশা দমন। শনিবার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ভবনে খোদ উপাচার্য বসেন, সেখানেই রাখা একটি মঙ্গলঘটে পাওয়া গেল ডেঙ্গির জীবাণুবাহী এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা। শনিবার পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল টিম ডেঙ্গিবাহী মশা মারার অভিযান চালায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে। তাতে ওই মঙ্গলঘট ছাড়াও ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়াম, এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ এবং সুপারভাইজারের অফিসের সামনে একাধিক জায়গায় জমা জলে এডিসের লার্ভা এবং জঞ্জাল মিলেছে। গত বছর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসনে ডেঙ্গি সংক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযান চালিয়ে পুরসভার কর্মীরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, একাধিক জায়গায় জল এবং জঞ্জাল জমা থাকায় এডিসের দৌরাত্ম্য বেড়ে গিয়েছিল। এ বার অবশ্য সেই পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টেছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। তিনি নিজেও ওই অভিযানে সামিল ছিলেন। পুরসভার অভিযানের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারও ঘুরেছেন ওই দলের সঙ্গে।
পুরসভা সূত্রের খবর, এক মাসে ৪২ লরি জঞ্জাল ফেলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ দিন ঠিক হয়েছে, সেখানে মশাবাহী রোগ প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে একটি নজরদারি কমিটি গঠন করা হবে। এ দিন যাদবপুর এলাকার ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরের আবাসনেও জমা জঞ্জাল ও জলে প্রচুর এডিসের লার্ভা পেয়েছে পুরসভার দল। অতীনবাবু জানান, ওই সংস্থার এক এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অভিযানের সময়ে সঙ্গে ছিলেন। ওই এলাকা সাফসুতরো রাখার জন্য বলা হয়েছে তাঁকে। আগামী মঙ্গলবার তাঁদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করবে পুরসভা।
অভিযান শেষে মেয়র পারিষদ টালিগঞ্জের ১০ নম্বর বরো অফিসে পুরসভার চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এক বৈঠক করেন। সেখানে অতীনবাবু বলেন, ‘‘মশাবাহী রোগ প্রতিরোধে সকলকেই নজরদারি চালাতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্যথা হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।’’