তখন বন্ধ নিমতলা শ্মশান।— নিজস্ব চিত্র।
দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিবাদে দীর্ঘ ক্ষণ ব্যাহত হল নিমতলা শ্মশানের পরিষেবা। সোমবার সকালে আচমকাই শ্মশানে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাঠ এবং ইলেকট্রিক চুল্লি। তারই জেরে শ্মশান চত্বরে লম্বা লাইন পড়ে যায়। সৎকারের কাজে এসে ভোগান্তিতে পড়েন মৃতদের পরিজনেরা। সকাল থেকে বেলা গড়িয়ে গেলেও সমস্যা না মেটায় বাধ্য হয়ে মৃতদেহ নিয়ে অন্যত্র যেতে হয় তাঁদের।
পুরসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি শ্মশানের রক্ষণাবেক্ষণ-সহ কাঠের চুল্লিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করার দায়িত্ব দেওয়া হয় নতুন একটি সংস্থাকে। শ্মশানের দায়িত্বে থাকা পুরনো সংস্থার কর্মীরা, নতুন করে বরাত পাওয়া সংস্থার কর্মীদের এ দিন কাজ করতে বাধা দেন। অভিযোগ, সোমবার ওই সংস্থার কর্মীরা শ্মাশানে এলে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেন পুরনো কর্মীরা।
দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ এমন পর্যায় পৌঁছয়, যে বন্ধ করে দেওয়া হয় চুল্লি। এমনকি পুরনো সংস্থার কর্মীরা শ্মশানের নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে জোর করে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। তিনি পুলিশের সাহায্যে তালে ভেঙে শ্মশানে ঢোকেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন। মেয়র পারিষদ ছাড়াও ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর শিখা সাহা। তিনিও হুমকির মুখে পড়েন বলে অভিযোগ।
মেয়র পারিষদের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায় শ্মশানে। ঘণ্টা তিনেক পর ফের খুলে দেওয়া হয় চুল্লি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতীনবাবু। তিনি বলেন, “কোন পরিস্থিতিতে এমন একটি জরুরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টেন্ডার ডেকে ‘প্রেরণা’ নামে একটি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। তিন বছর অন্তর নতুন সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়ছে।”
আরও পড়ুন: বানচাল বড়সড় ডাকাতির ছক, গভীর রাতে নিউটাউনে ধৃত ৬ দুষ্কৃতী
ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ।— নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: ভিআইপি রোডে চলন্ত বাসে আগুন
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কোন পরিস্থিতিতে নিমতলা শ্মশানে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুরসভাও।
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)