ফের বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে আহত প্রৌঢ়া

শনিবার টালায় জীর্ণ বাড়ি ভেঙে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার বিডন স্ট্রিটে বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়লেও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাড়ির ভাড়াটে। ফের সোমবার দুপুরে গিরিশ পার্কে একটি বাড়ির ঝুলবারান্দা ভেঙে পড়ে আহত হলেন এক প্রৌঢ়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০০
Share:

জীর্ণ: এমনই অবস্থা ওই বাড়ির। সোমবার, গিরিশ পার্কে। নিজস্ব চিত্র

শহরে একের পর এক বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ছে। তা সত্ত্বেও টনক নড়ছে না বাড়ির মালিক বা ভাড়াটেদের। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে দায় সারছেন। আর শহরে নাগাড়ে বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

Advertisement

শনিবার টালায় জীর্ণ বাড়ি ভেঙে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার বিডন স্ট্রিটে বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়লেও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাড়ির ভাড়াটে। ফের সোমবার দুপুরে গিরিশ পার্কে একটি বাড়ির ঝুলবারান্দা ভেঙে পড়ে আহত হলেন এক প্রৌঢ়া।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ গিরিশ পার্ক থানার উল্টো দিকে রামদুলাল সরকার স্ট্রিটে দোতলা একটি বাড়ির ঝুলবারান্দা ভেঙে পড়ে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িটি প্রায় দু’শো বছরের পুরনো। সোমবার দুপুরে বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভাড়াটে কানন মণ্ডল। মাথায় চাঙড় ভেঙে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। কাননদেবী বর্তমানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

এ দিন বিকেলে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, বাড়ির সিঁড়িটি বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছে। উপরের একটি ঘরে বৃদ্ধ ভাড়াটে সুবীর কুণ্ডু ও তাঁর পিসতুতো বোন কাননদেবী থাকেন। পাশের ঘরে সুবীরবাবুর পিসতুতো ভাই সপরিবার থাকেন। বাড়িটির নিচে আরও একটি পরিবারের বাস। সুবীরবাবু বলেন, ‘‘বছরখানেক আগে বাড়ির মালিক শশাঙ্কশেখর সরকার গার্ডেনরিচের বাসিন্দা মতিউর রহমানকে বাড়িটি বিক্রি করেন। বাড়িতে প্রোমোটিংয়ের কাজ শুরু হবে বলে বছরখানেক আগে প্রোমোটার তাপস পাঠক ক্ষতিপূরণ বাবদ দু’লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। এখনও চার লক্ষ টাকা পাওনা। কিন্তু এক বছর পার হলেও প্রোমোটারের দেখা নেই।’’ সুবীরবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমরা এই বাড়ি থেকে সরে যেতে চাই। কিন্তু প্রোমোটার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে আর আসছেন না। বাকি টাকা দিয়ে দিলে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাব।’’ যদিও তাপস পাঠককে ফোন করা হলে তিনি জানান, ‘‘ওই বাড়িতে মাপজোক করতে গিয়েছিলাম ঠিকই। তবে আমি প্রোমোটার নই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন