সকাল সাতটা। অটোচালকের অমানবিক আচরণের ‘শিকার’ একাদশ শ্রেণির ছাত্রটি বাগুইআটি থানায় গিয়েছিল অভিযোগ দায়ের করতে। অভিযোগ, প্রথমে ছাত্রের কথা শোনেননি কর্তব্যরত অফিসার। তাঁর পরামর্শ ছিল, অটো ইউনিয়নের কাছে গিয়ে নালিশ করার। ছাত্রটি অবশ্য থানায় দাঁড়িয়েই ফোন করে ১০০ ডায়ালে। মিনিট পনেরোর মধ্যে সেই অফিসারই ছাত্রটিকে ভিতরে ডেকে নিয়ে অটোচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে বাধ্য হলেন। রাত পর্যন্ত অভিযুক্ত অটোচালকের নাগাল পায়নি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বাগুইআটির বাসিন্দা শুভজিৎ ঘোষ লেকটাউন থেকে অটোয় ফিরছিলেন। তাঁর অভিযোগ, অটোচালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘রাস্তার ডিভাইডারে অটোটি ধাক্কা মারে। সাবধানে চলতে বলায় অটোচালক আমায় বলেন ‘যমের বাড়ি’ পাঠাবেন।’’ শুভজিতের অভিযোগ, ভাড়া মেটাতে তিনি একটি ৫০ টাকার নোট দিলে অটোচালক পুরো টাকাটা নিয়েই চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করেন। শুভজিতের কথায়, ‘‘আমি সিটের লাগোয়া রডটি ধরে নিই। অটোচালক আমাকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। হাত-পা ছড়ে যায়।’’
উল্লেখ্য সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় বাগুইআটি থানার বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার থানার ওসি বদলিও হন। স্থানীয় বাগুইআটি-উল্টোডাঙা অটো রুটের সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ রাহুল মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘পুলিশকে বারবার বলছি বেআইনি অটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু পুলিশের গা-ছাড়া মনোভাব।’’
বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (বিমানবন্দর) সবরি রাজকুমার বলেন, ‘‘অটোটি ফ্লাইং অটো। সেটির খোঁজ চলছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাগুইআটি থানা প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি এটা ঠিক নয়। ওই ছাত্রটিকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছিল। উনি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে।’’