অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
ফের শহরের বুকে সক্রিয় এটিএম জালিয়াতরা। কয়েক মাস আগেই এটিএম স্কিমিংয়ের একটি বড় চক্র ধরা পড়লেও, জালিয়াতি শেষ হয়নি। এবার তাদের শিকার এক পুলিশকর্মী।
কলকাতা পুলিশের ওই মহিলা কর্মী সোমবার তাঁর বাঁকুড়ার ছাতরার বাড়িতে ছিলেন। গভীর রাতে হঠাৎ করে তাঁর মোবাইলে পর পর এসএমএস আসতে থাকে। প্রথম মেসেজে তিনি দেখেন, তাঁর কলকাতা পুলিশের যে বেতনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেখান থেকে ৪০ হাজার টাকা ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে অন্য কোনও একটি অ্যাকাউন্টে।
গোটা বিষয়টি বোঝার আগেই ফের মেসেজ। দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ হাজার টাকা নগদে তোলা হয়েছে শিয়ালদহের একটি এটিএম থেকে। পরবর্তী পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফের দু’টি মেসেজ পান এবং দেখা যায় আরও ১০ হাজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উঠে গিয়েছে। তিন বারই টাকা তোলা হয়েছে শিয়ালদহের একটি এটিএম থেকে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগে তাণ্ডব হাসপাতালে
ওই পুলিশকর্মীর অ্যাকাউন্টটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের টালিগঞ্জ শাখায়। পরের দিনই তিনি কলকাতায় ফিরে গোটা বিষয়টি জানান ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে। তাঁদের তিনি জানিয়েছেন যে, এটিএম কার্ড তাঁর কাছেই ছিল। অথচ দেখা যাচ্ছে তাঁর কার্ড ব্যবহার করেই মোট ৬৬ হাজার টাকা তোলা হয়েছে।
ওই দিনই তিনি রিজেন্ট পার্ক থানায় অভিযোগ করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, স্কিমিংয়ের শিকার ওই পুলিশকর্মী। অর্থাৎ অন্য কোনও এটিএমে বসানো স্কিমিং ডিভাইস দিয়ে ওই পুলিশ কর্মীর কার্ডের তথ্য চুরি করেছে জালিয়াতরা। তারপর সেই তথ্য দিয়ে আর একটি কার্ড তৈরি করে টাকা হাতিয়েছে প্রতারকরা।
আরও পড়ুন: বঙ্গে সিরিঞ্জ বোমা, ধন্দে গোয়েন্দারা
গত অগস্ট মাসেই এ রকম একটি স্কিমিংয়ের চক্র পাকড়াও করেছিল কলকাতা পুলিশ। ওই চক্রটি ছিল মূলত রোমানীয় নাগরিকদের। চক্রের কয়েকজন রোমানীয় পাণ্ডাও ধরা পড়েছিল। ওদের জালিয়াতির ধরনের সঙ্গে এই জালিয়াতির মিল রয়েছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন,“প্রাথমিকভাবে স্কিমিং মনে হচ্ছে। আমরা গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার আধিকারিকদেরও সাহায্য নিচ্ছি।’’
এক গোয়েন্দা আধিকারিক বলেন, ‘‘এ ধরনের জালিয়াতি চক্র গোটা দেশে অসংখ্য রয়েছে। হতেও পারে নতুন কোনও গ্যাং এই কাজ করছে। আবার স্থানীয় কোনও চক্রও হতে পারে।’’
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)