পার্কিং-জট, বিমান ফিরল কলকাতায়

শুধু যাওয়া আর আসা। মাঝখানে খানিক বাড়তি চক্কর কাটা। পার্কিং বে খালিনা থাকায় গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছেও মাটিতে নামতে পারল না বিমান। ফলে যেখান থেকে যাত্রা শুরু, ফিরতে হল সেখানেই। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে সোমবারের ঘটনা। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান কলকাতা থেকে ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ পৌঁছে যায় কাঠমান্ডুর আকাশে। কিন্তু দাঁড়ানোর জায়গা না থাকায় ফিরতে হয় কলকাতাতেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৪৮
Share:

শুধু যাওয়া আর আসা। মাঝখানে খানিক বাড়তি চক্কর কাটা। পার্কিং বে খালিনা থাকায় গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছেও মাটিতে নামতে পারল না বিমান। ফলে যেখান থেকে যাত্রা শুরু, ফিরতে হল সেখানেই। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে সোমবারের ঘটনা। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান কলকাতা থেকে ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ পৌঁছে যায় কাঠমান্ডুর আকাশে। কিন্তু দাঁড়ানোর জায়গা না থাকায় ফিরতে হয় কলকাতাতেই।

Advertisement

বিমান সংস্থাটির দাবি, এর ফলে ১১ লক্ষ টাকার জ্বালানি নষ্ট হয়েছে। এ দিনই কাঠমান্ডু থেকে কলকাতায় যাত্রী নিয়ে ফিরে আসার কথা ছিল বিমানটির। ফলে কাঠমান্ডুতেও আটকে পড়েন ১০৫ জন যাত্রী। কলকাতার মতো কিছু যাত্রীকে কাঠমান্ডুর হোটেলেও রাখতে হয়। সব মিলিয়ে ক্ষতির অঙ্ক প্রায় ১৫ লক্ষ বলে দাবি সংস্থাটির।

ঠিক কী হয়েছিল এ দিন?

Advertisement

সংস্থাটির দাবি, তাঁদের বিমানচালক এ দিন কাঠমান্ডুর আকাশে পৌঁছেই নেপালের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অপেক্ষা করতে বলা হয় তাঁকে। মিনিট দশেক পরে জানা যায়, কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে যে ৯টি পার্কিং বে রয়েছে, তার সব ক’টিতেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বিমান। অতএব নামানো যাবে না বিমান।

প্রাকৃতিক কারণেই এই পার্কিং গোলযোগ বলে দাবি কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের। জিএম বীরেন্দ্র শ্রেষ্ঠা বলেন, “ঘন কুয়াশার জন্য ভোর ছ’টার পরিবর্তে সকাল এগারোটা থেকে বিমান ওঠানামা শুরু করে। দুপুরে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য তিনটি বিমান তিনটি পার্কিং বে আটকে রাখে তিন ঘণ্টার বেশি।”

এয়ার ইন্ডিয়ার অভিযোগ, ২০১০-এ কাঠমান্ডু থেকে ১৪-১৫টি বিমানসংস্থা উড়ান চালাত। গত কয়েক বছরে সংখ্যাটি প্রায় দ্বিগুণ হলেও বাড়েনি পার্কিং বে। কিন্তু কেন এত কম সংখ্যক পাকির্ং বে? বীরেন্দ্র জানান, স্রেফ জমির অভাবেই বাড়ানো যাচ্ছে না পরিকাঠামো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন