স্বীকৃতি: এক মঞ্চে পুরস্কৃতেরা। বুধবার সন্ধ্যায়, শহরের এক হোটেলে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
শিলিগুড়ির ভূমিপু্ত্র ঋদ্ধিমান সাহাকে দেখে উদ্ভাসিত আর এক উত্তরবঙ্গ-গৌরব শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। ঋদ্ধির ক্রিকেট-শৌর্য নিয়ে ক’দিন আগেই কলম ধরেছিলেন ক্রিকেটপাগল লেখক শীর্ষেন্দু। বুধসন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটের পাঁচতারা হোটেলে ‘এবেলা’ পত্রিকার অজেয় সম্মান-এর আসরে তাঁদের দেখা হয়ে গেল।
বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক ‘রুস্তম’-এর ‘তেরে সঙ্গ ইয়ারা’-খ্যাত অর্কপ্রভ মুখোপাধ্যায় অবশ্য বাংলা বলতে হোঁচট খেয়ে শীর্ষেন্দুর কাছে মৃদু বকুনি খেলেন। অর্কর মা পরে বললেন, ও কিন্তু আসলে দিব্যি বাংলা জানে!
জীবনকৃতি সম্মান প্রাপক শীর্ষেন্দুর সঙ্গে এক মঞ্চে সামিল বাঙালির তারুণ্যের মুখ দশ জন কৃতী। লেখক স্মরণজিৎ চক্রবর্তী মজা করে হারাধনের ১০টি ছেলের কথা বলছিলেন। কিন্তু ভিন্ন মোড়ের ১০টি চমকপ্রদ উড়ানের গল্পই উঠে এল। অলিম্পিক আসরের প্রোদুনোভা-কন্যা দীপা কর্মকার আসতে পারেননি। মঞ্চ-সিনেমার অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও সঞ্চালক থেকে রেস্তোরাঁ কর্ত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায় আসতে পারেননি। কিন্তু পদার্থবিদ ও কবিলেখক রাকা দাশগুপ্ত, চিত্রশিল্পী অর্পিতা প্রধান, থিয়েটারের তূর্ণা দাস বা ভূতত্ত্ববিদ শান্তনু মিশ্রদের মেধার বিচ্ছুরণ ছাপ রেখে গেল।
দশ জন সেরার মধ্যে সেরা তিনের সম্মান পেলেন দীপা, ঋদ্ধিমানের সঙ্গে ভূকম্প বিশারদ শান্তনু। কাঁধে সম্মাননার এই ভারটা যে দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দেয় তা বলছিলেন কৃতীরা সকলেই। অনেকে বোঝেন না, মেধার চর্চা আদতে তীব্র নিঃসঙ্গ এক প্রক্রিয়া। বিজ্ঞান বা শিল্প-সাহিত্য— দু’টি ক্ষেত্রই অনেকটা একই ধাঁচে একাকী। পুরস্কারপর্ব মিটলে শীর্ষেন্দু বললেন, মানুষের কাছে স্বীকৃতিতেই সেই সাধনা হিরণ্ময় হয়ে ওঠে। এই সন্ধ্যা সেই উৎকর্ষেরই উদ্যাপন করে গেল।