আলিপুর রোডের এক ব্যবসায়ীর বাড়ির চুরির কিনারা হল ঘটনার দশ দিন পরে।
চুরির অভিযোগে ওই বাড়ির একুশ বছরের এক পরিচারককে বুধবার বিকেলে বিহারের বাঁকা থেকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া হিরের গয়না, রুপোর বাসন। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম পবনকুমার যাদব। তার বাড়ি বাঁকা থানার কোজিগোড়াতে। বৃহস্পতিবার তাকে হাজির করানো হয়েছিল বাঁকা আদালতে। সেখানকার বিচারক তাকে তিন দিনের ‘ট্রানজিট রিমান্ড’-এ কলকাতায় পাঠানোর নির্দেশ দেন। আলিপুর থানার তদন্তকারীরা শুক্রবার তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন।
পুলিশ জানায়, আলিপুর রোডের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির স্থায়ী পরিচারক কয়েক দিন ছুটিতে যাওয়ায় পবনকে ১১ নভেম্বর নিযুক্ত করা হয়। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, পরের দিনই চুরি যায় গয়না ও বাসনপত্র এবং সেই দিন থেকে পবনও আর কাজে আসছিল না। ১৩ নভেম্বর পবনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
পুলিশ তদন্তে নেমে লালবাজারের ‘ক্রিমিনাল রেকর্ড সিস্টেম’-এর সাহায্য নিয়ে শহরের এমন ১১১ জন পরিচারকের সন্ধান পায়, যাদের সকলের নাম ‘পবন’। তাদের দুষ্কর্মের ইতিহাস ঘাঁটতে ঘাঁটতে তদন্তকারীরা ১০-১২ জন পবনকে বাছাই করেন। এর পরে তাদের গতিবিধির উপরে নজরদারি শুরু হয়। কয়েক জনের মোবাইলে আড়ি পেতে তদন্তকারীরা বিহারের বাঁকা থানা এলাকার বাসিন্দা পবনকুমার যাদবের সন্ধান পান। তাঁরা জানতে পারেন, যে দিন ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে চুরি হয়, সেই দিনই কলকাতা থেকে পালিয়ে যায় ওই পরিচারক।
বাঁকা থানায় গিয়ে পুলিশের সাহায্য নিয়ে পবনের সন্ধান পান তদন্তকারী অফিসারেরা। ২১ নভেম্বর বিকেলে তার বাড়িতে যৌথ তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় একটি বড় রুপোর গামলা। তাকে গ্রেফতার করে টানা জেরা শুরু হয়। পুলিশ জানায়, প্রথমে সে ভুল পথে পরিচালিত করতে থাকে। ২২ নভেম্বর বাঁকা আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনার অনুমতি নিয়ে ফের তাকে জেরা করতে থাকেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, তখন সে কবুল করে চুরি যাওয়া হিরে বসানো এক জোড়া কঙ্কন সে বাড়ির বাগানের মাটি খুঁড়ে লুকিয়ে রেখেছে। মাটির নীচে আরও কিছু রুপোর গয়না লুকিয়ে রাখার কথাও জানায় সে।