China

শহর থেকে বন্ধ হংকং ও চিনের সমস্ত উড়ান

কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য সোমবার জানিয়েছেন, এ দিনই শহর থেকে নিজেদের উড়ান তুলে নিয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:৩০
Share:

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে।—ছবি এএফপি।

কলকাতা থেকে চিন এবং হংকং যাওয়ার সমস্ত উড়ান আপাতত বন্ধ করা হল।

Advertisement

নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। রবিবারই ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে আসা এক যুবতীর গায়ে জ্বর দেখে তাঁকে করোনা-আক্রান্ত বলে সন্দেহ করে সটান বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কাউকে হাসপাতালে পাঠানো হল।

কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য সোমবার জানিয়েছেন, এ দিনই শহর থেকে নিজেদের উড়ান তুলে নিয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। তারা কলকাতা থেকে কুনমিং শহরে যেত। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে প্রথমে তারা সপ্তাহে আটটি উড়ানের বদলে চারটি উড়ান চালাচ্ছিল। এ দিন সেই বাকি চারটিও বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার কলকাতা থেকে হংকংয়ে যাওয়া ড্রাগন এয়ারও তাদের উড়ান তুলে নিয়েছে।

Advertisement

কলকাতা থেকে চিনের গুয়াংঝাও শহরে বিমান চালাত ইন্ডিগো। তারা অবশ্য আগেই উড়ান তুলে নিয়েছে। ইন্ডিগো জানিয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের উড়ান বন্ধ থাকবে। চায়না ইস্টার্ন জানিয়েছে, ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উড়ান বন্ধ রাখবে তারা। ড্রাগন এয়ারের তরফে অবশ্য নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ জানানো হয়নি। এই সমস্ত উড়ানে যাঁদের টিকিট কাটা ছিল, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: কলকাতার মেট্রোয় ‘টাইম ট্রাভেল’ করে জরিমানা দিলেন বিজ্ঞানী

এ দেশের বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন’ (ডিজিসিএ) শনিবারই সমস্ত উড়ান সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছিল, চিন বা অন্য কোনও দেশ থেকে কোনও চিনা নাগরিককে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এমনকি, চিনে থাকা বিদেশিদের ক্ষেত্রেও আপাতত ভারতে ঢোকার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এই অবস্থায় ভারত থেকে চিনে উড়ান চালানোর কোনও যুক্তি নেই বলেই মনে করছেন উড়ান সংস্থার কর্তারা।

আরও পড়ুন: ‘জাতপাতের চেয়েও ভয়ঙ্কর ধর্মের রাজনীতি’, বিস্ফোরক প্রীতীশ নন্দী

‘ট্র্যাভেল ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া’র পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান অনিল পঞ্জাবি জানিয়েছেন, এর ফলে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়ছে পর্যটন ব্যবসা। ইদানীং অনেকেই কলকাতা থেকে ব্যাঙ্ককে উড়ে গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তাঁদের আত্মীয়েরাও ব্যাঙ্ককে যান নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। অনিল জানিয়েছেন, নিমন্ত্রিতদের একাংশ বেঁকে বসায় বেশ কয়েকটি বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিলও করতে হচ্ছে। ফলে, লোকসানও হচ্ছে বিস্তর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন