rape

বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত এক

স্বামী এবং তাঁর বন্ধু-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং সেই কাজে সহায়তা করার অভিযোগ দায়ের করলেন এক বধূ। অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করল একবালপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:১৭
Share:

অভিযোগ, তরুণীর স্বামী তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে জোর করেন।

স্বামী এবং তাঁর বন্ধু-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং সেই কাজে সহায়তা করার অভিযোগ দায়ের করলেন এক বধূ। তাঁর লিখিত সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করল একবালপুর থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই স্বামী-সহ বাকিরা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগে একবালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। লিখিত অভিযোগে ওই তরুণী দাবি করেছেন, বছর দুই আগে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে ভালবেসে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়েতে যুবকের পরিবারের সম্মতি না থাকলেও পরবর্তী কালে সব কিছু মেনে নেওয়া হয়। অশান্তির সূত্রপাত বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে। তরুণীর দাবি, বিয়ের আগে থেকেই অভিযুক্ত যুবক একাধিক সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। বিয়ের পরেও তিনি সেই সব সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে না আসায় প্রতিবাদ করেন তরুণী। এর জেরেই তাঁকে নিয়মিত মারধর করা হত বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, মাঝেমধ্যেই বাবা-মায়ের কাছ থেকে পণ বাবদ মোটা টাকা আনার জন্য চাপও দেওয়া হত।

লিখিত অভিযোগে তরুণী জানিয়েছেন, প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা পণের দাবি করতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা। তিনি সেই দাবি মতো একাধিক বার কিছু টাকা এনেও দিয়েছিলেন। তাতেও অত্যাচার থামেনি বলে তরুণীর অভিযোগ। পণের দাবি না মানলে তালাক দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলেও দাবি করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। আরও অভিযোগ, তরুণীর স্বামী তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে জোর করেন। গত ১০ অগস্ট বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে আসেন তরুণীর স্বামী। অভিযোগ, ওই দিন তাঁকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ করা হয়। সেই সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন, এমনই দাবি তরুণীর। পালাতে গেলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগে দাবি করেছেন তিনি। ঘটনার কথা কাউকে জানালে তরুণী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

ওই ঘটনার মাস দেড়েক পরে একবালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। যার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগকারিণীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর স্বামী-সহ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন