শিক্ষক নিয়োগে আবার ‘দুর্নীতি’ যাদবপুরে

সূত্রের খবর, রয়ায়ন বিভাগে ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও কেউ নিয়োগপত্র পাননি। শিক্ষকের অভাবে ওই বিভাগের পঠনপাঠন এবং গবেষণা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০১:৩৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ রয়েছে স্বজনপোষণেরও। ক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার উপাচার্যের দ্বারস্থ হন।

Advertisement

সূত্রের খবর, রয়ায়ন বিভাগে ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও কেউ নিয়োগপত্র পাননি। শিক্ষকের অভাবে ওই বিভাগের পঠনপাঠন এবং গবেষণা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিযোগ, বিজ্ঞান বিভাগের ডিনের নিজস্ব এক জন প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞ কমিটি তাঁকে যোগ্য বলে মনে করেনি। এর পরেই শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউয়ের স্কোর শিট নিজের কাছে রেখে দেন ডিন। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞ কমিটির দুই সদস্যকে ডেকে ফেব্রুয়ারি মাসের দিন উল্লেখ করে তাতে সইও করিয়ে নেন। অভিযোগ উঠেছে, এই কাজ জালিয়াতির নামান্তর। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এ দিন বিষয়টি নিয়ে রসায়ন বিভাগের সিংহভাগ শিক্ষক উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে তাঁদের আপত্তির কথা জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটা-র পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের কাছে যাওয়া হয়।

জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, অভিজিৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকাকালীন এই ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। তখন হাইকোর্ট সেই নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। পার্থপ্রতিমবাবুর আরও অভিযোগ, বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য একই দিনে যাদবপুর এবং অন্য আর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন। যা অনৈতিক এবং নিয়ম-বিরুদ্ধ।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

জুটার দাবি, অবিলম্বে রসায়ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। না হলে তাঁরা লাগাতার আন্দোলনে যাবেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বাদ রাখার দাবিও তুলেছে ওই সংগঠন। দুর্নীতির তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে তারা। বিজ্ঞান বিভাগের ডিন সুব্রত কোনার বলেন, ‘‘আমার এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। যা বলার, উপাচার্য বলবেন।’’ উপাচার্যকে ফোন এবং এসএমএস করা হলেও কোনও উত্তর আসেনি।

এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে নিয়োগ নিয়েও জলঘোলা হয়েছিল। রাজ্য সরকার বারবারই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে শূন্য শিক্ষক-পদ পূরণের জন্য তাগাদা দিয়ে চলেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন কারণে তাতে বিলম্ব হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন