দক্ষিণেশ্বরের জন্য রাস্তা খুলে দিচ্ছে সেনা

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসা মাঝারি মাপের যানবাহনের জন্য বিকল্প রাস্তা খুলে দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। গত জানুয়ারিতে স্কাইওয়াক তৈরির জন্য দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসা-যাওয়ার প্রধান রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:১২
Share:

—ফাইল চিত্র।

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসা মাঝারি মাপের যানবাহনের জন্য বিকল্প রাস্তা খুলে দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। গত জানুয়ারিতে স্কাইওয়াক তৈরির জন্য দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসা-যাওয়ার প্রধান রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের পায়ে হেঁটে মন্দিরে যাতায়াতের জন্য বিকল্প রাস্তা চালু করা হলেও মন্দিরে আসা

Advertisement

গাড়ির ঢোকা-বেরোনো নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

প্রায় ন’মাস ধরে মন্দির-কর্তৃপক্ষ, রাজ্য প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পরে অবশেষে জট কাটল। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে সেনা ক্যাম্পাসের রাস্তা খুলে দেওয়া হবে। গত শুক্রবার এ বিষয়ে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজ্য প্রশাসন ও মন্দির-কর্তৃপক্ষের ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হয়। বৈঠকে কেএমডিএ-র সিইও ওঙ্কারসিংহ মিনা, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেঙ্গল এরিয়ার কর্নেল (কিউ ল্যান্ড) বীরেন্দ্র সিংহ, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, দক্ষিণেশ্বর মন্দির অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরী-সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘স্কাইওয়াকের জন্য রাস্তা বন্ধ থাকায় গাড়ির ঢোকা ও বেরোনো নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তাই পাশেই সেনাবাহিনীর নিজস্ব যে রাস্তা রয়েছে, সেটি খুলে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। অবশেষে তারা রাজি হওয়ায় ধন্যবাদ।’’ পাশাপাশি কুশলবাবু বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে আগামী জুলাই পর্যন্ত রাস্তা ব্যবহারের চুক্তি হয়েছে। আশা করি, তার মধ্যে স্কাইওয়াকের কাজও শেষ হয়ে যাবে। এ বার থেকে গাড়ি আগের মতো মন্দিরের ভিতরেই রাখা যাবে।’’

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের প্রধান রাস্তা রানি রাসমণি রোড বন্ধ থাকায় ঘুরপথে দর্শনার্থীদের ভিতরে ঢুকতে হচ্ছে। কিন্তু ওই রাস্তা সঙ্কীর্ণ হওয়ায় পথচারী ও গাড়ির একসঙ্গে ঢোকা-বেরোনো সম্ভব নয় বলেই যানবাহনের গতিবিধির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ফলে এই মুহূর্তে দক্ষিণেশ্বরে আসা সমস্ত গাড়িই এলাকার বিভিন্ন রাস্তার উপরে কিংবা গলির ভিতরে রেখে সকলকে বেশ খানিকটা পথ হেঁটে আসতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রতিনিয়ত যানজট ফেঁসে যাচ্ছে গোটা এলাকা।

প্রশাসন সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর রাস্তা খুলে গেলে সমস্ত গাড়ি দক্ষিণেশ্বর আইল্যান্ড থেকে রামকৃষ্ণ পরমহংস রোডে সোজা ঢুকে সেনা ক্যাম্পাসের ভিতরের রাস্তা ব্যবহার করে টি এন বিশ্বাস রোডে এসে মন্দিরের মূল গেট দিয়ে পার্কিংয়ে ঢুকতে পারবে। আবার ওই রাস্তা দিয়েই একই ভাবে গাড়ি বেরিয়ে যাবে। তবে এর জন্য কয়েকটি শর্ত রেখেছে সেনা কর্তৃপক্ষ। যেমন, বড় রাস্তা থেকে শুরু করে সেনা ক্যাম্পাসের রাস্তা ও অন্যান্য জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। ভারী গাড়ি ওই রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে না। এ ছাড়া, সকাল ও বিকেলে মন্দির খোলা এবং বন্ধের সময় অনুসারেই সেনাবাহিনীর রাস্তা ব্যবহার করা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন