রথ আছে। সারথি নেই।
সাত মাস কেটে গিয়েছে। নতুন অ্যাম্বুল্যান্সের শুধু ফিতেটুকুই যা কাটা হয়েছিল। তার পর থেকে সেটির চাকা কোনওদিনই আর ঘোরেনি। দক্ষিণ দমদম পুরসভার পলিক্লিনিকেই গ্যারাজবন্দি পড়ে রয়েছে ওই অ্যাম্বুল্যান্স। ওই ওয়ার্ডটি আবার পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের চেয়ারম্যান পারিষদেরও বটে।
কবে চালু হবে অ্যাম্বুল্যান্স?
দক্ষিণ দমদম পুরসভা কর্তৃপক্ষের অবশ্য সাফাই, চালকের অভাবেই অ্যাম্বুল্যান্সটি চালু করা যাচ্ছে না। গত বছর অক্টোবরে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বেদিয়া পাড়ায় একসঙ্গে দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন হয়েছিল। যেটির একটি ছিল দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের কোটার। আর অন্যটি ছিল স্থানীয় দমদম পুরসভার বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিধায়ক তহবিলের। এর মধ্যে ব্রাত্যবাবুর দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্সটি কিছু দিন আগে থেকে দক্ষিণ দমদম পুরসভা ব্যবহার করা শুরু করা হয়েছে। কিন্তু সৌগতবাবুর তহবিল থেকে আসা অ্যাম্বুল্যান্সটি ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পলিক্লিনিকের গ্যারাজে পড়ে রয়েছে।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ ওই এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁরা জানিয়েছেন, বেদিয়াপাড়া এলাকায় ৩৫-৪০ হাজার মানুষের বসবাস। স্থানীয় বাসিন্দারাই জানান, দিন কয়েক আগে উপযুক্ত সময়ে অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ার জেরে হাসপাতালে যাওয়ার পথে এক রোগীর মৃত্যুও হয়েছে বেদিয়াপাড়া এলাকায়। ওই ভাবে অ্যাম্বুল্যান্স ‘অকেজো’ হয়ে পড়ে থাকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় তৃণমূলের একটি অংশও। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা স্থানীয় বিধায়ক ব্রাত্য বসুর কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন।
ঘটনা নিয়ে কথা বলতে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) গোপা পাণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। তাই গোপাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান পারিষদ দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এক জন চালক মারা গিয়েছেন। কয়েক জন অবসর নিয়েছেন। নতুন চালক পেলে তবেই অ্যাম্বুল্যান্সটি চালু করা হবে। দ্রুত সেই চালক খোঁজার চেষ্টা চলছে।’’
দমদমের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘এটি দক্ষিণ দমদম পুরসভার বিষয়। তাও আমি পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’’