ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।
দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল একটি মাদ্রাসার এক ইংরেজির শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মহেশতলা থানা এলাকার একটি হাই মাদ্রাসার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিভাবকেরাও স্কুলে আসতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং এসডিপিও। মাদ্রাসাতেই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে পুলিশের তরফে একটি বৈঠক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রাতের দিকে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। একটি স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিগ্রহের অভিযোগে। অন্যটি ছাত্রীদের তরফে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এক ছাত্রীর অভিযোগ, ইংরেজির ওই শিক্ষক ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। গত সপ্তাহের শুক্রবার ওই শিক্ষকেরলাইব্রেরির ক্লাসে নিয়ে যাওয়া হয় শুধু ছাত্রীদের। সেখানকার সিসি ক্যামেরা খারাপ ছিল। জানলা-দরজা বন্ধ করে দেন শিক্ষক। ছাত্রীরা দরজা খুলতে চাইলে নিষেধ করেন তিনি। অভিযোগ, এক ছাত্রীর হাত ধরেন ওই শিক্ষক। অন্য এক ছাত্রীকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, শিক্ষক হয়ে তিনি ছাত্রীদের এমন কথা বলেন, যাশিক্ষকসুলভ নয়।
এক ছাত্রীর অভিভাবিকা বলেন, ‘‘ছাত্রীদের খারাপ ভাবে স্পর্শ করা হয়। অশ্লীল কথা বলা হয় ওদের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন হলেছাত্রীরা শিক্ষা কোথা থেকে অর্জন করবে?’’ অভিভাবকদের দাবি, এ সবের বিরুদ্ধে ছাত্রীরা লিখিত অভিযোগ জমা দিলেও তাতে আমল দেওয়া হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের ঘরে নিয়ে গিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়।
মহেশতলা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি আতিয়ার রহমান মোল্লা অবশ্য জনৈক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই শিক্ষক এক ছাত্রীকে কারণবশত মেরেছেন। এই নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের বচসাও হয়েছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে