তারস্বরে বাজছে গান, সঙ্গে নাচ হিন্দু সংহতির সমর্থকদের। বুধবার, ময়দান এলাকায়। ছবি: নীলোৎপল বিশ্বাস
রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চে নেতাদের ‘বাক্যবোমা’ তখন হাততালির ঝড় তুলেছে সামনে বসা কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। উড়ে আসছে একের পর এক মন্তব্য। সেই সময়েই কয়েকশো মিটার দূরে ময়দানে দেখা গেল ‘হিন্দু সেনা’র আর এক চিত্র। অভিযোগ, মদ্যপান করে হিন্দি গানের সঙ্গে কোমর দোলালেন অনেকেই। ধুলোয় গড়াগড়ি খেতে খেতে স্লোগান তোলা হল, ‘জয় শ্রীরাম’!
বুধবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ‘হিন্দু সংহতি’ নামে এক সংগঠনের সভা ছিল। সে জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন ওই সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা। ময়দানে গাড়ি রেখে তাঁরা যান সভাস্থলে। বাকিরা ছিলেন গাড়ির কাছেই। এ দিন দুপুরে সেখানে ছিল পিকনিকের মেজাজ। অভিযোগ, খাওয়ার পরে এঁদের অনেকেই লরিতে বসে সঙ্গীদের নিয়ে মদ্যপান করেন এবং মদের গ্লাস হাতে নিয়ে স্লোগান দেন, ‘জয় শ্রীরাম’।
বিকেলের পরে উৎসাহ বাড়ে। অভিযোগ, হিন্দি গান চালিয়ে নাচ শুরু করেন তাঁরা। সভাস্থল থেকে ফিরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আরও
কিছু যুবক। তাঁদেরই এক জন, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের বাসিন্দা সৌমেন ঘোষের প্রশ্ন, ‘‘এক দিন কলকাতায় এলাম। সভা শেষ, একটু ফুর্তি করব না?’’ হাওড়ার আমতা থেকে আসা জহর সর্দার আবার বললেন, ‘‘আন্দোলনের সময়ে আন্দোলন। তার পরে আনন্দ।’’
যদিও সংগঠনের সদস্যদের এ হেন আচরণ সমর্থনযোগ্য নয় বলেই মত ‘হিন্দু সংহতি’র সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্যের। তাঁর কথায়, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। একেবারেই সমর্থন করি না। কারা এমন করেছেন, খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ প্রসঙ্গত, গত বছরও এই দিনে (ভ্যালেন্টাইন্স ডে) ‘হিন্দু সংহতি’র সদস্যদের বিরুদ্ধে যুগলদের দেখলেই তেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
আরও পড়ুন: ধর্মতলায় সভা ধর্ম বদলের, সঙ্গে গুন্ডামি