old age home

Old Age Home: বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই আশ্রয়হীন প্রবীণার

ছোট মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিজেপির একটি পরিত্যক্ত দলীয় কার্যালয়ই ছিল তাঁর সাম্প্রতিক ঠিকানা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২২ ০৭:০৩
Share:

নতুন ঠিকানায় ননীবালা বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র

গোটা করোনা-পর্বে পথের ধারে পড়ে থাকার পরে বৃদ্ধা ননীবালা বিশ্বাসের ঠাঁই হল খড়দহের একটি বৃদ্ধাশ্রমে। ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের নিত্যযাত্রীরা কমবেশি সকলেই ননীবালার মুখ চেনেন। সেই কবে, বাংলাদেশের যশোরের বাড়ি ছেড়ে আসার পরে দুই মেয়ের শ্বশুরবাড়িই ছিল ননীবালার ঠিকানা। বছর দুই আগে এক-এক করে দুই মেয়েই মারা যাওয়ার পরে জামাইরা রাখতে চাননি বৃদ্ধাকে। সেই থেকে কখনও গাছতলায়, কখনও বন্ধ দোকানের বারান্দায় দিন কাটছিল ৭৭ বছরের বৃদ্ধার। ছোট মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিজেপির একটি পরিত্যক্ত দলীয় কার্যালয়ই ছিল তাঁর সাম্প্রতিক ঠিকানা।

Advertisement

চলার পথে তাঁকে খেয়াল করতেন অনেকেই। কয়েক জন খাবারও দিতেন। তাঁদেরই এক জন অনির্বাণ সেন বললেন, ‘‘পুলিশকে জানিয়ে চেষ্টা করেছিলাম ওঁকে জামাই, নাতির কাছে ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু ওঁরা অস্বীকার করলেন।’’ ইতিমধ্যে আরও এক জন বিষয়টি প্রশাসনকে জানান। রবিবার ননীবালাকে খড়দহের যে বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যাওয়া হয়, সেটির মালিক পেশায় শিক্ষক ও স্থানীয় পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিন্ময় দাস। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি।’’

এক জন প্রবীণাকে কেন পরিজনেরা ব্রাত্য করবেন, তা নিয়ে সোমবারই ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক ও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন অনির্বাণেরা। মহকুমাশাসক অভ্র অধিকারী বলেন, ‘‘সমাজকল্যাণ দফতরকে দেখতে বলছি। আইন অনুযায়ী, ওই বৃদ্ধাকে জামাই ও নাতিরই দেখার কথা। না হলে সরকারি হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন