House collapse

গার্ডেনরিচ, বৌবাজারের পর এ বার বাড়ির অংশ ভেঙে পড়ল পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে, কেউ হতাহত নন

মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, যে বাড়ির অংশ ভেঙে পড়েছে সেখানে দু’জন বাসিন্দা আটকে পড়েছিলেন। নিরাপদে তাঁদের উদ্ধার করা গিয়েছে। শশীর দাবি, পুরসভা ওই বাড়িকে বিপজ্জনক বলে আগেই ঘোষণা করেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩০
Share:

পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে ভাঙল পুরনো বাড়ির একাংশ। — ছবি: সংগৃহীত।

কলকাতায় আবার ভেঙে পড়ল বাড়ির অংশ। গার্ডেনরিচ, বৌবাজারের পর এ বার বাড়ির অংশ ভাঙল পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে। কলকাতা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শুক্রবার সন্ধ্যায় আচমকাই ভেঙে পড়ে একটি পুরনো বাড়ির অংশ। কী করে বাড়িটি ভেঙে পড়ল তা এখনও পরিষ্কার নয়। সূত্রের খবর, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছিলেন দু’জন। দমকল গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

Advertisement

গার্ডেনরিচ এবং বৌবাজারকাণ্ডের আবহে পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট। বাড়ির অংশ ভেঙে পড়ে সেখানে। ওই এলাকায় একটি প্রোমোটিংয়ের কাজ চলছিল। একটি বাড়ি ভেঙে নতুন ফ্ল্যাট তৈরির কাজ চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যে বাড়িতে প্রোমোটিং চলছিল সেখানে ‘ভাইব্রেটর’ যন্ত্র ব্যবহার করে পুরনো নির্মাণ ভাঙা হচ্ছিল। সেই যন্ত্রের অভিঘাতে পাশের একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। এর জেরে ওই বাড়ির দুই বাসিন্দা ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন। দমকল গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। শশী জানান, যে বাড়ির অংশ ভেঙে পড়েছে তাতে দু’জন বাসিন্দা আটকে পড়েছিলেন। নিরাপদেই তাঁদের উদ্ধার করা গিয়েছে বলেও মন্ত্রী দাবি করেছেন। যে বাড়িটির অংশ ভেঙে পড়েছে, সেই বিল্ডিংকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণাও করেছিল পুরসভা। সন্ধ্যায় তা-ই ভেঙে পড়ে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মান বহুতল। তাতে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২ এপ্রিল বৌবাজারের রাম কানাই অধিকারী লেনে ভেঙে পড়েছিল একটি পুরনো বাড়ির একাংশ। তার তিন দিনের মধ্যে আবারও শহরে ভাঙল পুরনো বাড়ির একাংশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন