প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মুখে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ নিয়ে উদ্বিগ্ন কেষ্টপুরের অনুরূপা পল্লি।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ওই এলাকায় সম্প্রতি কয়েকটি পরিবারের সদস্যেরা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের রক্ত পরীক্ষায় এনএসওয়ান পজিটিভ ধরা পড়েছে বলেই খবর। বিকাশ হালদারের চার বছরের কন্যাসন্তান বেশ কিছু দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। বিকাশের কথায়, ‘‘রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। প্লেটলেট ৫০ হাজারের নীচে নামলে বিধাননগর শিশু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ভর্তি করানোর কথা বলেছেন।’’ বাপের বাড়িতে ঘুরতে এসে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অণিমা হালদার। গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে জ্বরে আক্রান্ত বিসি ৮’এর বাসিন্দা লক্ষ্মী কুণ্ডু বলেন, ‘‘পাড়ার প্রতিটি গলির নর্দমায় জল জমে রয়েছে। পরিষ্কার
ই হয় না।’’ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ঘিঞ্জি এলাকায় মশার লার্ভা জন্মানোর মতো একাধিক জায়গা রয়েছে। সে সব এলাকা চিহ্নিত করে মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পুরসভা এখনও পর্যন্ত সক্রিয় পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা মঞ্জু দাস বলেন, ‘‘বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। এত মশা!’’
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম মণ্ডল বলেন, ‘‘কোথাও ডেঙ্গি সংক্রমণের খবর পেলে স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই এলাকায় গিয়ে জমা জল, জঙ্গল রয়েছে কি না দেখে আসছেন। অনুরূপা পল্লির একটি নির্মাণ প্রকল্পের পরিস্থিতি নিয়ে প্রোমোটারকে সতর্ক করা হয়েছে। এর পরেও সংক্রমণ ছড়িয়ে প়ড়লে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’