App Cab

ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে নয়া নির্দেশিকায় উদ্বিগ্ন অ্যাপ-ক্যাব চালকেরা

নতুন ব্যবস্থায় সরকার নির্ধারিত মূল ভাড়ার অর্ধেক থেকে সর্বোচ্চ দ্বিগুণ পর্যন্ত ভাড়া নিতে পারবে অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনগুলি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ০৯:৩২
Share:

যাত্রী টানার লড়াইয়ে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি প্রায়ই কম ভাড়ায় সফরের সুযোগ দেয়। —প্রতীকী চিত্র।

অ্যাপ-ক্যাব সংক্রান্ত কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় ভাড়া নির্ধারণের প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন শহরের অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠনগুলির বড় অংশ। নতুন ব্যবস্থায় সরকার নির্ধারিত মূল ভাড়ার অর্ধেক থেকে সর্বোচ্চ দ্বিগুণ পর্যন্ত ভাড়া নিতে পারবে অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনগুলি। তাই নয়া এই ব্যবস্থা বেসরকারি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির লাভ বাড়ানোর পাশাপাশি, সার্বিক পরিষেবায় ‘অস্বাস্থ্যকর’ প্রতিযোগিতার জন্ম দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চালকেরা।

যাত্রী টানার লড়াইয়ে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি প্রায়ই কম ভাড়ায় সফরের সুযোগ দেয়। নতুন ব্যবস্থায় সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ ভাড়ার সীমা বৃদ্ধি পাওয়ায় অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির ভাড়ার হার ওঠানামা করার প্রবণতা বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। রাজ্যে ২০১৮ সালের পর থেকে ভাড়া বাড়েনি। সময়োপযোগী মূল ভাড়ার নির্দিষ্ট হার রাজ্যে নেই বলেও অভিযোগ। ফলে কম ভাড়ায় যাত্রী টানার চেষ্টা হলে চালকেরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে অভিযোগ। এআইটিইউসি-র হলুদ ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠনের নেতা এবং বাম পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘ভাড়া নিয়ে সংস্থাগুলিকে জুয়া খেলতে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত একতরফা বেসরকারি সংস্থাগুলির হাত শক্ত করবে।’’ ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভাড়ার বিপুল ব্যবধান যাত্রীদের অস্বস্তি বাড়াবে।’’ সিটু নির্ধারিত অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষের মতে, ‘‘রাজ্যে ২০১৮ সাল থেকে ভাড়ার হার বাড়েনি। নতুন নির্দেশিকায় কম ভাড়ায় যাত্রী টানার প্রতিযোগিতা শুরু হলে চালকেরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বেন।’’

এআইইউটিইউসি-র বাইক-ট্যাক্সি চালক সংগঠনের সভাপতি শান্তি ঘোষের আশঙ্কা, ‘‘বেসরকারি সংস্থাগুলিকে পছন্দ মতো ভাড়া নির্ধারণে বিপুল ছাড় দেওয়াহয়েছে। অথচ সামাজিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দেওয়ার মতো ক্ষেত্রগুলি উপেক্ষিত।’’

বাণিজ্যিক নম্বর প্লেট ব্যবহারকারী চালকদের পাশে সাধারণ বাইককেও বিভিন্ন পরিষেবায় নামতে দিলে এ ক্ষেত্রে নৈরাজ্য দেখা দেবে বলে আশঙ্কা। এ নিয়ে নওলকিশোর বলেন, ‘‘সংস্থাগুলি কোনও দায় নেয় না। আমাদের সংগঠনের এক চালকের আকস্মিক মৃত্যুর পরেও সংস্থার তরফে ক্ষতিপূরণ মেলেনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন