ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভার জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগের পরীক্ষা পর্ব এখনও চলছে। তার মধ্যেই ‘নিয়োগপত্র’ হাতে চলে এল এক প্রার্থীর। অভিযোগ, এর জন্য তাঁকে ঘুষ দিতে হয়েছে এক লক্ষ টাকা। পরে ওই প্রার্থী জানতে পারেন, নিয়োগপত্র পুরোটাই জাল। আপাতত, কলকাতার মেয়রের শরণাপন্ন হয়েছেন ওই প্রার্থীর পরিবার। বৃহস্পতিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেই এ খবর দিয়ে জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন পরে কলকাতা পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য প্রায় এক লক্ষ প্রার্থী আবেদন করেছেন। লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। আগামী কয়েক রবিবারও তা চলবে। ৩ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা দিয়েছিলেন খিদিরপুরের কার্ল মার্ক্স সরণির বাসিন্দা সুমিতকুমার সিংহ। মেয়রের কাছে সুমিতের পক্ষ থেকে অভিযোগে জানানো হয়েছে, এক ব্যক্তি তাঁকে চাকরি করে দেওয়ার নামে তিন লক্ষ টাকা চান। এক লক্ষ টাকা আগে, বাকিটা নিয়োগপত্র পাওয়ার পরে। মেয়র জানান, এক লক্ষ টাকা দেওয়ার পরে নিয়োগপত্র পান সুমিত। তা নিয়ে পুরসভায় গিয়েই জানতে পারেন, সেটি জাল। মেয়রের কাছে তার একটি প্রতিলিপিও দেন সুমিত। তাতে দেখা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার কর মূল্যায়ন দফতরের অ্যাডিশনাল চিফ ডিরেক্টর সুশীল ব্যানার্জির নাম দিয়ে এক জন জানাচ্ছেন, সুমিতকে কলকাতা পুরসভার ৫ নম্বর বরোয় জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। সেই পত্রে নিজেকে এসট্যাবলিশমেন্ট দফতরের ইনচার্জ বলেও লেখা হয়েছে। আগামী ৮ অগস্ট থেকে তাঁকে কাজে যোগ দিতে বলা হচ্ছে। আর একটি কাগজ আবার কলকাতা পুরসভার ছাপানো প্যাডের অবিকল দেখতে। তার মাথায় লেখা ‘দি কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন’ আর নীচে অফিস অব দ্য চিফ মিউনিসিপাল পার্সোনেল অফিস। যা একেবারেই ভুলভাল বলে অভিমত পুর অফিসারদের। সেই পত্রে আবার দেওয়া হয়েছে, বেতনক্রম ১৮০০০-৩৫০০০। ওই জাল চিঠি পুর কমিশনার খলিল আহমেদের হাতে দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মেয়র। পুর কমিশনার জানান, কর মূল্যায়ন দফতরে অ্যাডিশনাল চিফ ডিরেক্টর বলে কোনও পদই নেই। এই চিঠিটি জাল। এর পরে নিউ মার্কেট থানায় প্রতারণার একটি লিখিত অভিযোগও করেছে পুরসভা।