Murder

অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে খুন করে ‘আত্মঘাতী’, অনুমান পুলিশের

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, বছরখানেক আগে কৃষ্ণা এবং শুভেন্দুর রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছিল। কৃষ্ণা ছিলেন কলেজের ছাত্রী। অন্য দিকে, টালিগঞ্জ-বেহালা চৌরাস্তা রুটে অটো চালাত শুভেন্দু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

শাশুড়ি বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত বাড়ির পাশে ঝোপের আড়ালে অপেক্ষা করছিল অভিযুক্ত। ওই প্রৌঢ়া বেরিয়ে যেতেই বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে নিজে বিষ খায় সে। রবিবার রাতে হরিদেবপুর থানা এলাকার সোদপুরের রামকৃষ্ণনগরে এক তরুণীকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে এমনই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মৃতেরা হলেন কৃষ্ণা দে এবং তাঁর স্বামী শুভেন্দু দাস।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, বছরখানেক আগে কৃষ্ণা এবং শুভেন্দুর রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছিল। কৃষ্ণা ছিলেন কলেজের ছাত্রী। অন্য দিকে, টালিগঞ্জ-বেহালা চৌরাস্তা রুটে অটো চালাত শুভেন্দু। এ নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল কৃষ্ণার পরিবারের। পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে শুভেন্দু ও কৃষ্ণার মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। তখন থেকেই মেয়েকে নিজেদের কাছে এনে রেখেছিলেন কৃষ্ণার মা-বাবা। তা নিয়ে প্রায়ই কৃষ্ণা ও শুভেন্দুর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। তদন্তকারীদের অনুমান, তার জেরেই স্ত্রীকে খুন করে অভিযুক্ত। পুলিশের আরও ধারণা, রবিবার রাতে খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিল সে।

পুলিশ তদন্তে জেনেছে, শাশুড়ির না থাকার সুযোগে বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে কৃষ্ণাকে ছুরির এলোপাথাড়ি কোপ মারে শুভেন্দু। এর পরে নিজে বিষ খায়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাড়ির বাইরে পড়ে থাকতে দেখেন শুভেন্দুকে। তখন ঘরের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন কৃষ্ণা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন