নিউ আলিপুর থানা।
ক্লাবে ঢুকে ভাঙচুর ও স্থানীয় লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠল আলিপুরে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে আলিপুরের থ্যাকার রোডের একটি ক্লাবে ওই তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র ও তাঁর সঙ্গীরা হামলা চালান বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন আর এক তৃণমূল নেতা প্রতাপ সাহার লোকজন। সূত্রের খবর, ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতে ঋতেশ সিংহ নামে এক যুবক অভিযোগ করেন, বিপ্লববাবু ও তাঁর সঙ্গীরা তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করেছেন। ঋতেশের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ কয়েক জন সঙ্গীকে নিয়ে এলাকায় আসেন বিপ্লববাবু। অভিযোগ, হাতে থাকা ইট, বোতল এবং বাঁশ দিয়ে আচমকা ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করতে শুরু করেন তাঁরা। ক্লাবের ভিতরে ঢুকেও ভাঙচুর চালানো হয়। ক্লাবের সদস্যেরা বাধা দিতে এলে তাঁদের উপরেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় সরোজদেবী এবং অমরনাথ উপাধ্যায় নামে দু’জন জখম হন। তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে দু’পক্ষের গোলমাল চলার পরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আলিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। পুলিশ সূত্রের খবর, গভীর রাতে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার আদালতে তোলা হলে ধৃতেরা জামিন পান।
প্রতাপ-ঘনিষ্ঠদের দাবি, এলাকায় গাড়ি রাখা নিয়ে গোলমালের জেরেই এই হামলা। তাঁদের বক্তব্য, প্রতাপবাবুর পরিচিত এলাকার কিছু বেকার ছেলে রাস্তায় গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করে রোজগার করেন। কিন্তু অভিযোগ, বিপ্লববাবু তাঁদের থেকে কমিশন বাবদ টাকা দাবি করেন। সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়াতেই হামলা হয়েছে। প্রতাপবাবু বলেন, ‘‘বিপ্লব মিত্র আসলে এলাকা নিজের দখলে রাখতে চাইছে। এলাকার ছেলেদের ভয়ে রাখতে চাইছে বলেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে বিপ্লববাবুকে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। এসএমএসেরও কোনও উত্তর আসেনি।